জাতীয়

এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) ফর কর্পোরেট কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ” শীর্ষক সারাদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রেস রিলিজঃ ২৫ অক্টোবর ২০২৫ “সাসটেইনেবিলিটি ফান্ডামেন্টালস: এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) ফর কর্পোরেট কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ” শীর্ষক সারাদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত’

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), এসবিসি বাংলাদেশ, লিন সিক্স সিগমা আইটি সলিউশনস এবং সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে ২৫ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল কেনেরি পার্কে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারাদিনব্যাপী “ডে-লং সার্টিফিকেট ট্রেনিং অন সাসটেইনেবিলিটি ফান্ডামেন্টালস: এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) ফর কর্পোরেট কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এবং উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ক্যাপস-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লিন সিক্স সিগমা আইটি সলিউশনস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনোয়ার আহমেদ মজুমদার, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এসবিসি বাংলাদেশ কনসালটেন্ট মোঃ রবিউল কবির। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসান কবির রুবেল।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাসনেক্স লিমিটেড-এর পরিচালক ও জিআরআই সার্টিফায়েড প্রশিক্ষক মোন্তাসির নাহিদ, ডিবিএল গ্রুপ-এর সিনিয়র ম্যানেজার (সাসটেইনেবিলিটি) মাশুক চৌধুরী, গ্রিন ফাইন্যান্স প্রফেশনাল কারিমুল তুহিন এবং ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক শাদমান সাকিব আনিক।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের ধারায় এখন প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ইএসজি বা এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স মানদণ্ডে নিজেদের মূল্যায়ন করতে হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান কতটা পরিবেশবান্ধব, কর্মীদের প্রতি কতটা দায়িত্বশীল এবং প্রশাসনিকভাবে কতটা স্বচ্ছ—এসবই এখন সাফল্য, বিনিয়োগ এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ শিল্পোন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চললেও পরিবেশ দূষণ ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইএসজি একটি কার্যকর দিকনির্দেশনা।”
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, “বর্তমান বিশ্বে সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়নে পরিবেশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ‘গ্রিন টেকনোলজি’ ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।”
সাসনেক্স লিমিটেড-এর পরিচালক মোন্তাসির নাহিদ বলেন, “বাংলাদেশে ইএসজি ও টেকসই রিপোর্টিং সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল রিপোর্টিং নিশ্চিত করতে হবে, যা বিনিয়োগকারীর আস্থা ও ব্যবসায়িক বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।”
ডিবিএল গ্রুপ-এর সিনিয়র ম্যানেজার মাশুক চৌধুরী বলেন, “আমরা ইএসজি কমপ্লায়েন্সকে ব্যবসায়িক নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। উৎপাদন থেকে কর্মপরিবেশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে টেকসই অনুশীলন নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।”
গ্রিন ফাইন্যান্স প্রফেশনাল কারিমুল তুহিন বলেন, “ব্যাংকিং খাতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স এখন বৈশ্বিক আর্থিক দায়বদ্ধতার অংশ। এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ আস্থার জন্য অপরিহার্য।”
ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক শাদমান সাকিব আনিক বলেন, “ইএসজি এখন বৈশ্বিক ব্যবসা রূপান্তরের মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের টেকসই ব্যবসায়িক নীতিতে রূপান্তর ঘটাতে হবে।”
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এসবিসি বাংলাদেশ কনসালটেন্ট মোঃ রবিউল কবির বলেন, “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে মানসম্পন্ন উৎপাদনে অবদান রাখছে, কিন্তু ইএসজি কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি এখনও রয়ে গেছে। ইএসজি কেবল বড় কর্পোরেটের বিষয় নয়—ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করলেই বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারবে।”
উক্ত প্রশিক্ষণে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং প্রভাষক মোঃ নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close