আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিমের রিমান্ড শেষে হওয়ার আগেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড চলাকালে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আক্কাস মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে রিমান্ডে পেয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সাথে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি কথা বলতে পারেন না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং সে কথা বলতে না পারায় তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং সে কথা বলতে না পারায় তাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও আর কোনো তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। এ কারণে তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
পরে তাকে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।