বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক সরকারের নিকট পেশকৃত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২রা অক্টোবর রবিবার সকালে বাঘা বাড়িতে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ও ২৩ অক্টোবর সারাদেশে কর্মবিরতি সফল করতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের উত্তরবঙ্গের সভাপতি শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাজী মো: শাহজাহান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন, উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী, কুমিল্লা জেলা ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল মেঘনা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ফতুল্লা মেঘনা ইউনিটের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল চৌধুরী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা মনে করি ট্যাংকলরী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নিকট পেশকৃত এই ১০ দফা দাবী যুক্তিযুক্ত ও যুগোপযোগি দাবী।আশা করি আমাদের বহুল প্রত্যাশিত এই দাবীগুলো মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করবেন।
এসময় বক্তারা গত ১১ এপ্রিল দেশের ট্যাংকলরি শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশন ১০ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করেছে তা মেনে নেওয়ার দাবি জানান। ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র ও বেতন ভাতা, শ্রম বিধি অনুযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ, ট্যাঙ্কলরি শিল্পের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন, ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বীমা পূর্বের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকদের সহজশর্তে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, সারাদেশের তেলের ডিপো সাথে শ্রমিক বিশ্রামাগার, শৌচাগার ও ট্যাংকলরি টার্মিনাল নির্মাণের দাবি বাস্তবায়ন, রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামিয়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক ফান্ড কার্যকর করা, ট্যাঙ্কলরি শিল্পে অন্য শিল্পের শ্রমিকদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৭৯ (৫) ধারা সংশোধন করে শুধুমাত্র “দাহ্য পদার্থ বাহি ট্যাংকলরীর ক্ষেত্রে” একই প্রতিষ্ঠানে একটির বেশি ইউনিয়ন গঠন করা যাবে না মর্মে সংশোধন করতে হবে সহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন ঐ সভায়।
দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণ না করলে আগামী ২৩ অক্টোবর পেট্টোল পাম্প ও ট্যাংকলরী বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।