জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগের পৃথক হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। শহরের কালীবাড়ি এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুহিত হোসেনের পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুল কবির ও শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জোবায়ের হোসেন পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল। পুলিশকে দেখে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা দৌড় দিলে কয়েকজন আহত হতে পারেন বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলিজা জামান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল রহমান প্রমুখ।
বিলকিস জাহান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আজ দিশাহারা। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তরাও মুখ ঢেকে টিসিবির পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। টিসিবির ট্রাকের পেছনে শত শত মানুষের দৌড় দেখে প্রথমে মনে করেছি, কোনো সিনেমার শুটিং চলছে। পরে জেনেছি, টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষ দৌড়াচ্ছে। আজ সব চোরের দল মিলে সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। এ সিন্ডিকেট ভেঙে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’