জাতীয়
রোজিনা ইসলাম কে গ্রেফতারে জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, হয়রানি, হেনস্তা ও শ্বাসরোধ করে হত্যা প্রচেষ্টার পর ‘তথ্য চুরি’র অভিযোগ এনে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জার্নালিষ্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস রেজি:নং: এস ১০৮০৩ (একটি সাংবাদিক মানবাধিকার সংগঠন)।
বুধবার (১৯মে) সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে কেন্দ্রীয় চীফ কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে উদ্বেগজনক,মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর চরম আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন।
জেএসএইচআর নেতারা বলেন,রোজিনা ইসলামকে পৈচাশিক নির্যাতন,নিপীড়ন করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বাকরুদ্ধ এবং সাংবাদিকদের কলম থামানো যাবে না। বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম আরো সোচ্চার থাকবে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর হামলা ও নির্যাতনের যে চিত্র ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে নিশ্চিত করে বলা যায়,রোজিনা ইসলামের দুর্নীতি বিরোধী সাংবাদিকতার ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যক্তিগতভাবে অবৈধ সুবিধা হারাচ্ছেন।একারণেই এমন ন্যাক্কারজনক ও সুপরিকল্পিত নির্যাতন ও হেনস্তা করা হয়েছে।
নেতারা মনে করেন,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লাগামহীন দুর্নীতি নিয়োগে অনিয়ম,করোনাকালীন কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মসহ সার্বিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোজিনা ইসলাম যে সংবাদগুলো প্রকাশ করেছেন তার ফলশ্রুতিতেই তিনি এ ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার।এ ঘটনায় কোনোভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সচিব দায় এড়াতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন জার্নালিষ্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস নেতারা।
জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস মনে করে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণু বা জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক এবং এ ঘটনা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি করার ক্ষেত্রে আরো বেপরোয়া ও ভয়হীন করে তুলবে।
নেতারা আরও বলেন,রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার হয়রানি শুধু ব্যক্তি রোজিনার ওপরই হামলা নয় বরং এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উপর চরম আঘাত। রোজিনা ইসলামের ওপর এই নির্যাতন,মামলা,গ্রেফতার মানবাধিকারেরও চরম লঙ্ঘন। তারা আরও বলেন, বিতর্কিত ‘অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’সহ স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এমন সব কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।



