জাতীয়
বিজিপির ১৪ সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বিজিবি ক্যাম্পে
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনা চলছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছে দুই বাংলাদেশি। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে। বন্ধ রাখা হয়েছে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারে আরাকান স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
সীমান্ত ঘেষা এ সংঘর্ষ আতঙ্ক ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু এবং কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সীমান্ত পর্যন্ত। বিরামহীন গোলাগুলির ঘটনায় তুমব্রু, কোণারপাড়া, ভাজাবনিয়া, বাইশফাঁড়ি এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। এ ছাড়া বাইশফাঁড়ি সীমান্তে এক ব্যক্তির বাড়িতে গোলা এসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবান সীমান্তে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি।
সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। তাদের অস্ত্র ও গুলি বিজিবির কাছে জমা রাখা হয়েছে।
এদিকে, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বান্দরবান সীমান্তে বিজিবির সাথে কাজ করছে পুলিশ। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন।
নিরাপত্তার কারণে তুমব্রু সীমান্তবর্তী একটি মাদ্রাসাসহ ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
সীমান্তে ভীতিকর পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি।