খেলাধুলা

এশিয়া কাপে আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে সুপার ফোরের  আগেই বিদায়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ দল।

সুপার ফোরের আশা জিইয়ে রাখতে হলে আফগানদের বিপক্ষে জিততেই হবে। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভার করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পহাড় গড়ে বাংলাদেশ।

৩৩৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে ৭৪ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ৬০ বলে ৫১ রান করেন অধিনায়ক হাশমতবউল্লাহ শহিদি।

রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে টাইগাররা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হবে।

এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।

এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৮ আর ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন নাইম শেখ ও তাওহিদ হৃদয়।

তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মিরাজ-শান্ত। এই জুটিতে তারা ১৯০ বলে ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।

১৯৪ রানের জুটি গড়ার পথে জোড়া ফিফটি হাঁকান মিরাজ-শান্ত। দুজনেই নিজের ফিফটির ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে পরিনত করতে সক্ষম হন। মেহেদি হাসান মিরাজ ১১৯ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রান করে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন।

১০৫ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।

ইনিংসের শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ৯৭ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।

ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে যাওয়া জাদরানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তার বলে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম। তার আগে ৭৪ বলে ১০টি চার  আর এক ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন।

এরপর নজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫২ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ শহিদি। একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ১৯৩ রান।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান।

৮৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৮.২ ওভারে ৪টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেটে নেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close