জাতীয়

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলায় পৌঁছেছে চীনা জাহাজ

বাগেরহাট জেলার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৬ হাজার ৬২০ টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে চীনা পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি জে হ্যায়।
শনিবার সকালে বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায এলাকায় নোঙ্গর করে জাহাজটি। এর আগে ২১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪৪ হাজার ৬২০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে জাহাজটি। এই জাহাজ থেকে ১৮ হাজার টন  কয়লা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে লাইটার জাহাজে করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অবশিষ্ট কয়লা নিয়ে শনিবার সকালে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় পৌছায় জাহাজটি। সকাল থেকেই এ জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে লাইটার বা কোস্টার জাহাজে করে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেয়া শুরু করেছে।
বিদেশি জাহাজ ‘জে হ্যায়’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, কযলা নিয়ে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি জে হ্যায় ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার ১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে। জাহাজ থেকে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার টন ও ২৯ মে এম.ভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ টন কয়লা এসেছিল মোংলা বন্দর হয়ে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-বিআইএফপিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কেন্দ্রে এখন কয়লা সংকট নেই। আমাদের ২০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। এছাড়া ৪৪ হাজার টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে এসে পৌছেছে। আরও ৪৮ হাজার টন কয়লা আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই কয়লা এসে পৌছাবে। বর্তমানে প্রতিদিন ৩ হাজার টন কয়লার চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কয়লা সংকটে কিছুদিন কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকার পরে ১৬ মে আমরা পুনরায় উৎপাদন শুরু করি। বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের কেন্দ্র নিরবিচ্ছন্ন উৎপাদনে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close