আন্তর্জাতিকখেলাধুলা

ভয়ংকর সমুদ্রযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা

কেউ বমি করছেন, কেউবা চিৎপটাং হয়ে পড়ে আছেন ফ্লোরে। রীতিমত যেন এক হাসপাতাল। একসঙ্গে বাংলাদেশের এত ক্রিকেটারকে কোনো বিদেশ যাত্রায় অসুস্থ হতে দেখা যায়নি আগে। এবার তারা ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন আটলান্টিক মহাসাগরে।

সেন্ট লুসিয়া থেকে মার্টিনেক হয়ে ডোমিনিকা। সব মিলিয়ে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার ভ্রমণ। সমুদ্র পার হতে হবে ফেরি দিয়ে। শুরুতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশ উপভোগ করছিলেন উত্তাল সমুদ্র।

তবে যত সময় গড়াতে থাকে, ততই ঢেউ আর ফেরির দুলোনিতে মনে ভয় ধরে যায় তাদের। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এবং সাপোর্ট স্টাফের এক সদস্য ‘মোশন সিকনেসে’ আক্রান্ত হন।

তাদের কয়েকজন বমিও করেন এসময়। কয়েকজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন ফ্লোরেই। দেড় ঘণ্টা ফেরিতে কাটানোর পর মার্টিনেক নামক দ্বীপে যাত্রা বিরতি ছিল। কয়েকজন ক্রিকেটার অনুরোধ করেন, তাদের যেন সেখান থেকে বিমানের ব্যবস্থা করা হয়।

কিন্তু যাত্রার মাঝপথে বিরতি দিলেও বিমানের টিকিট জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাকি পথও ফেরিতেই পাড়ি দিতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।

এক ক্রিকেটার এমনও বলেছেন, ‘এখানে অসুস্থ হয়ে মরলে তো আমরা মরব, কারো তো কিছু হবে না।’ দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার বলছিলেন, ‘এত দেশ সফর করলাম, জীবনে এই অভিজ্ঞতা প্রথম। আমরা কেউই এতে অভ্যস্ত নই। এখন যদি ফেরিতেই কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কী হবে, খেলা তো পরের কথা। আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সফর।’

ফেরি যাত্রায় দলের সঙ্গে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সমুদ্রভীতির কারণে তিনি আগেই জানিয়ে দেন ফেরিতে ডমিনিকা যাবেন না। অবশ্য টি–টোয়েনটি দলে নেই বলে তামিমের ডমিনিকা আসাটাও জরুরি ছিল না। ওয়ানডে সিরিজের আগে গায়ানায় তাঁর আবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close