সারাদেশ

ভৈরবে মেডিল্যাব মেডিকেল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নবজাতক হত্যার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্ট, রাফি তালুকদার :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেডিল্যাব মেডিকেল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কে এন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আজ ১৫ জুন প্রধান পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ কে এন জাহাঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এবং অবহেলায় ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু কে হত্যার অভিযোগে বিচার দাবী করেন পিতা হাজী সোহরাব হোসেন বাদল ও তার পরিবার বর্গ। উক্ত বিষয়ে হাজী সোহরাব হোসেন বাদল অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন,
বিনিত নিবেদন এইযে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী হাজী সোহরাব হোসেন বাদল(৪৫), পিতাঃ মৃত আলী আকবর,সাং-চন্ডীবের মধ্য পাড়া প্রধান বাড়ি, থানা-ভৈরব,জেলা-কিশোরগঞ্জ।
অদ্য : ১৪/০৬/২০২২ ইং রোজ মঙ্গলবার
আপনার থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করছি যে, গত ৮/০৬/২০২২ ইং রোজ বুধবার আমার স্ত্রী ২নং স্বাক্ষীকে ভৈরব মেডিল্যাব মেডিক্যাল এন্ড ডায়বেটিক সেন্টার প্রাঃ লিঃ এ ভর্তি করেন। ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে বলে যে আসামির অবস্থা আশংকাজনক দ্রুত আল্ট্রা করাতে হবে। আমি আসামির কথা মতো আল্ট্রা করার পর আসামি আমাকে বলে যে বাচ্চার পজিশন ভালো না দ্রুত সিজার করা না হলে বাচ্চা ও মা কে বাচানো যাবে না। আমি বাচ্চা এবং মা কে বঁাচানোর জন্য সিজার করার অনুমতি দেই। পরবর্তীতে ৮/০৬/২০২২ইং তারিখে বিকাল ৩ টার সময় ওটিতে নিয়ে যায়। এবং অদক্ষ্য নার্সসহ আমার স্ত্রীকে সিজার করেন। পরবর্তীতে আমি নার্সের সাথে আলোচনা করে জান্তে পারি অপারেশন থিয়েটার এ থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে বহিরাগত বিদেশ ফেরত সাইফ আহমেদ সিজার করাতে ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করেছে। সিজার করার পর আসামী আমাকে বলে যে শিশুর অবস্থা আশংকাজনক আপনি দ্রুত রোগীকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি আবার ১০ মিনিট পরে বলেন যে ডাক্তার দিদারুল ইসলাম এর কাছে যাওয়ার জন্য। আমি আসামির কথা মতো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিদারুল ইসলাম এর স্বরনাপর্ণ হলে তিনি আমার নবজাতক বাচ্চা কে প্রয়োজনীয় সেলাইন দেন এবং তিনি বলেন যে এটা সর্বক্ষণ চালিযে যাওয়ার জন্য এবং তার অনুমতি ছাড়া যেন সেলাইন বন্ধ না করা হয়। কিন্তু গত ১০/০৬/২০২২ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সময় আনুমানিক ১টায় আসামি শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিদারুল ইসলাম এর অনুমতি ছাড়া হীন উদ্দেশ্যে সেলাইনটি বন্ধ করে ফেলেন। সেলাইন খোলার পর থেকে আমার নবজাতক বাচ্চার শ্বাস কষ্ট ও কান্না শুরু করে। বার বার আসামিকে বলার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে অবহেলা করে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিদারুল ইসলামের পরামর্শ ব্যাতিত সেলাইন বন্ধ করা এবং কর্তব্যরত ডাক্তারের অবহেলার কারণে আমার নবজাতক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায়। এর ফল প্রস্তুতিতে চিকিৎসার অবহেলার কারণে ঘটনার তারিখ ও সময়ে গত ১১/০৬/২০২২ ইং তারিখে আমার নবজাতক বাচ্চা কে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে ইচ্ছা পূর্বক হত্যা করেছে। আমি ঘটনার যাবতীয় বিবরণ ও এলাকার গণমাণ্য ব্যাক্তিদের সাথে আলোচনা করে ও দাফন কাজে ব্যস্থ থাকায় মামলা দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইলো।
এবিষয়ে ডাঃ কে এন জাহাহাঙ্গীর কে আসামী করে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close