আইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জরাজনীতি
১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলা দিবস
যারা মারা গেছে তারাতো মারাই গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি, বিচারটা দেখে যেতে চাই। ঘটনার ২১ বছর পার হয়েছে, কিন্তু এখনও বিচার হয়নি। তবে আমরা বিশ্বাস করি বিচার হবে।
২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টায় এসব কথা বলেন দুই পা হারানো মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দনশীল।
এর আগে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় নিহতদের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে অন্যতম বেদনার দিন ১৬ জুন। ২০০১ সালের এই দিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। যেখানে আরডিএক্স বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই হামলায় ২০টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। গুরুতর আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক লোক। সেইসঙ্গে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দনশীল ও সেসময়ের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন দাস। তবে এখনও এই মামলার কোনো কূল কিনারা হয়নি। ঘটনার প্রায় ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন কারণে মামলাটি এখনও ঝুলে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চন্দনশীল বলেন, বাংলাদেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কালচার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে ৩০ বছর সময় লেগেছিল। আমরা মনে হয় সেই ধারাই অনুসরণ করছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি বিচার হবে। শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা আছে, যারা পরিকল্পনাকারী তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় একটা চার্জশিট হয়েছে যেখানে মুফতি হান্নানসহ কয়েকজনের নাম এসেছে। আমরা মনে করি না শুধু এটাই যথেষ্ট। এখানে মাস্টারমাইন্ড আছে। শামীম ওসমান ও তার সহকর্মীদের একত্রে হত্যা করার জন্যই এ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার সঙ্গে বিএনপি জামায়াত জড়িত, আমাদের এই ধারণা অমূলক নয়। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দূষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এই ঘটনায় আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী হারিয়েছি। তাদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।