আন্তর্জাতিকনির্বাচনী হালচাল
ভারতে মোদিবিরোধীদের নয়া জাগরণ

এরপর প্রার্থীর মৃত্যু, দলত্যাগ, দলবদলে বিধানসভার সাত আসন শূন্য হয়। সেসব আসনের মধ্যে তিন আসনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হয়। অপর চার আসনে উপনির্বাচন হয় ৩০ অক্টোবর। সব আসনেই জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থীরা। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে বিপুল ব্যবধানে জেতেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মার্চ-এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিল ৬১ হাজার ৬৬৭ ভোট। আর উপনির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবারের ফলাফলে সেই ভোট কমে হয়েছে ২০ হাজার ২৫৪। ভোট ৩৩.৬৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩.০৭ শতাংশ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা আসনে বিজেপি যেখানে ৮২ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছিল। এবার উপনির্বাচনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪২৩। ভোট ৪১.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯.৯৫ শতাংশে।
কোচবিহারের দিনহাটা আসনে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৫ ভোট, সেখানে এবার উপনির্বাচনে পেয়েছে ২৫ হাজার ৪৮৬ ভোট। ৪৭.৬০ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৩ শতাংশে। আর শান্তিপুর আসনে যেখানে বিজেপি মে মাসে পেয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭২২ ভোট, সেখানে উপনির্বাচনে পেল ৪৭ হাজার ৪১২ ভোট। নেমে গেল ৪৯.৯৪ শতাংশ থেকে ২৩.২২ শতাংশে।
অন্যদিকে বিধানসভার ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ৯ আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া কংগ্রেস ৮, তৃণমূল ৪ এবং বাকি ৪টিতে জিতেছে অন্য রাজনৈতিক দল। এ ফলাফলের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলছে, বিজেপির সময় ফুরিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে বিজেপিবিরোধী ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো আরও শক্তিশালী হবে।