সারাদেশ
তাড়াইলে প্রতিবেশিদের বাড়ী অবরোধ্য করে রাখার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বজ্রধ্বনি: কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রতিবেশির তিনটি বাড়ী অবরোধ্য করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে অন্য প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে গত ২ ফেব্রুয়ারি তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছোট বাচ্চাদের সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্রকরে হাজীপুর গ্রামের বাসীন্দা মো. আঃ রহিমের বাড়ীসহ আরো তিনটি বাড়ী গত পাঁচ মাস ধরে অবরোধ্য করে রেখেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশি মোহাম্মদ আলী ভূঞার চার ছেলে মো. আকবর হোসেন (হোসেন), আবাল হোসেন (আবাল), আজহারুল ইসলাম ও আজিজুল হক। তাদের মদদ দিচ্ছেন গ্রামের প্রভাবশালীমহল। ফলে ওই তিনটি বাড়ীতে বসবাসরত গর্ভবতী নারী, জটিল রুগে আক্রান্ত ও বৃদ্ধ পুরুষ এবং কোলের শিশুসহ প্রায় শতাধিক মানুষ বন্দী সময় কাটাচ্ছেন। অবরোধ্য নারী, পুরুষ ও কোমলমতি শিশুরা খাদ্যভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ক্ষুধার যন্ত্রনায় বাড়ীগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান, অভিযোগকারী আঃ রহিম। তাদের দ্রুত মুক্ত করা না গেলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবরোধ্যাবস্থায় থাকা ওই বাড়ীর এক বাসীন্দা গত দুই মাস পূর্বে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজিজুল হক বলেন, আমরা কারো বাড়ী অবরোধ্য করে রেখেছি কথা ঠিক নয়। আমাদের মধ্যে বাড়ীর রাস্তা নিয়ে একটু সমস্যা আছে। এজন্য আমি চারফুট রাস্তা দিতেও রাজি হয়েছি। কিন্তু আমাদের অন্য শরীকরা দিতে চাচ্ছে না। এনিয়ে সামাজিক ভাবে শালিশ/ দরবারও হয়েছে, সমাধান হয় নাই। আমরা আগামীকাল (সোমবার) আবার বসবো, আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। তাড়াইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম এবং অবরোধ্য থাকা তিনটি পরিবারের চলাফেরা স্বাভাবিক করতে রাস্তার ব্যবস্থা করে দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করার সংবাদ পেয়ে আজ (রোববার) আবারও ঘটনাস্থলে গেলে আগামীকাল স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করবেন বলে আশ্বস্থ করেন।