আড়াইহাজারকক্সবাজারকুমিল্লাচট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিভাগঢাকাঢাকা বিভাগনরসিংদীনারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদরফতুল্লাবন্দররুপগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জসোনারগাঁও

নদী আর জলাশয় হচ্ছে প্রকৃতির ফুসফুস: জাকির হোসেন হোসাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা: শিল্প-কারখানায় ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) না থাকলে তরল বর্জ্য সরাসরী নদীতে গিয়ে জমবে, আর তাতেই নদীগুলো একসময় মরে যাবে। নদী আর জলাশয় হচ্ছে প্রকৃতির ফুসফুস। অথচ আমরা সেখানে তোশক, কাঁথা ও বালিশ সহ সব ধরনের ময়লা ফেলছি। আমার ফুসফুসে যদি সামান্য কিছুও ঢুকে যায়, আমি বাঁচব না। ঠিক তেমনই নদীর ফুসফুস বন্ধ হয়ে আসছে।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) সকালে নগরীর আলী আহমদ চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনে শিল্প দূষণ রোধ ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকির হোসাইন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন- ইটিপি নিয়ে আমরা বহুবার আলোচনা করেছি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নগরীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে সচেতনতা এবং দায়িত্বশীলতা দুটোই দরকার।

ওয়েস্ট এনার্জি প্রকল্প প্রসঙ্গ টেনে জাকির হোসাইন জানান- অতীতে কয়েকটি চায়না কোম্পানি এ-ই উদ্যোগ নিতে আগ্রহ দেখালেও অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত কাজ এগোয়নি। বিদ্যুৎ বিক্রি করে যদি বিনিয়োগকারী কোম্পানি টাকা ফেরত না পায়, তবে তারা কেন ইনভেস্ট করবে? এ প্রশ্নও রাখেন নাসিকের সিইও। তবে তিনি আশ্বাস দেন, জালকুড়ি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেখানে নতুন একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প শুরু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বায়ু দূষণের প্রসঙ্গেও সতর্ক করেন তিনি।

তার মতে, শিল্প থেকেই সবচেয়ে বেশী ধুলা আর পার্টিকুলেট ম্যাটার তৈরী হচ্ছে। এর ফলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়ছে। এ কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close