
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ। বর্তমানে তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে থেকেও খালেদ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে রাজনীতি করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে তাকে কখনো কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলনে দেখা যায়নি। বরং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম.এ.আউয়াল নয়নের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করছেন তারা।
এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে ছাত্রদলের একাধিক ত্যাগী নেতা বলেন, “২০২১ সালের উপনির্বাচনে নয়ন এমপির পক্ষে দালালবাজার ইউনিয়নের মহেদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন খালেদ। অথচ আজ তিনি বিএনপিপন্থী ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হতে চান। এটি ত্যাগী নেতাদের জন্য চরম অপমানের বিষয়।”
একইসাথে খালেদের বয়স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে তার বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। বয়স বিবেচনায় তাকে ‘বুড়ো নেতা’ আখ্যা দিয়ে অনেকেই বলছেন, “এমন প্রবীণদের হাতে ছাত্র রাজনীতির দায়িত্ব গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংযোগ দুর্বল হয়ে যাবে।”
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন কমিটিতে খালেদ সভাপতি হওয়ার জন্য নানা মহলে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ত্যাগী, নির্যাতিত এবং সক্রিয় নেতাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।
ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দলের দুর্দিনে যারা মাঠে ছিল না, তাদের দিয়ে নেতৃত্ব সাজানো হলে রাজপথের কর্মীরা হতাশ হবে।”
তবে এ বিষয়ে খালেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।