ঢাকাস্বাস্থ্য বার্তা
বিভিন্ন দাবিতে ফিজিওথেরাপিস্টদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা করে সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগ দেয়ার দাবী
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১০টা থেকে ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) শিক্ষার্থীরা। সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা এ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন করছেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বুধবার দুপুরে বলেন, “তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু। আমি নিচে যাচ্ছি এখন, তাদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলছি।”
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি।
২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়।
তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব কারণেই তারা আন্দোলন করছেন।
ঢাকা ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী বজলুল হক বলেন, বলেন, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
“তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি।
“বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারো কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।”