নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

পুলিশ-প্রশাসন আজ সরকারের দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: গণসংহতি আন্দোলন

আজ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস এক যৌথ বিবৃত্তিতে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই কর্মী নিহত হবার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সংগঠক বিপ্লব খান কর্তৃক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যাদের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, তারা আজ আওয়ামীলীগ সরকারের গদি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পুলিশ-প্রশাসন শহরের ২ নং রেলগেটে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে, গুলি করেছে। পুলিশের গুলিতে ২ জন বিএনপির কর্মীসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে। এর আগে ভোলাতেও ঠিক একই কায়দায় যুবদলের সমাবেশে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। আজকে নারায়ণগঞ্জ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল বা মতার্দশকে দমন-পীড়ন- নির্যাতন করা, গণমানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি সঞ্চার করে আওয়ামীলীগ তাদের স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘায়িত করতে চায়।

সুতরাং সহিংস্র কায়দায় প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নির্মূল করা, নির্যাতন করা ছাড়া কোন ভাবেই তাদের গদি রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা পরিস্কার ভাবে বলি, রাজপথকে রক্তে রঞ্জিত করার খেসারত আওয়ামীলীগ সরকারকে চরমভাবেই দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের জান ও জবানের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সারাদেশের জনগণকে এক কাতারে নামিয়ে এনেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে জনজীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। আর এর প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলে তাদের উপর হামলা করে, মামলা দিয়ে প্রয়োজনে হত্যা করে দমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস বলে পৃথিবীতে কোন স্বৈরতন্ত্রই মানুষ হত্যা করে তার ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে পারেনি। বরং এক একটি হত্যাকাণ্ড তার পতনের রাস্তাকেই সুসজ্জিত করেছে। মানুষ হত্যা করে সরকার তার নিজের কবরকেই রচিত করছে। আওয়ামীলীগের দিন শেষ হয়ে এসেছে। জনগণের গণঅভ্যুত্থানই আওয়ামীলীগের কবর রচনা করবে। নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই শোক সইবার মতো নয়। নিহতরা এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে দিকনির্দেশক হয়ে রইলেন। স্বৈরাচারী সরকারের বন্দুকের নল আজ ফারুক এবং শাওনের বুককে রক্তাক্ত করেছে। এই রক্তাক্ত বুকই, আজ বাংলাদেশের পতাকা। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই শোককে কাটিয়ে উঠার মতো শক্তি তারা অর্জন করবে এই প্রত্যাশা রাখছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close