আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের সমর্থনে আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন

ব্যস্ত রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে ইসরাইল পন্থী আন্দোলনকারীরা আর তাদের সামনেই একদম মুখোমুখি অবস্থানে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনের সমর্থকেরা। এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হল যুক্তরাজ্যের লন্ডন।

চলমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আন্দোলন-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তবে দুই পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থানের সাথে পরিচিত নয় বিশ্ববাসী। দুই পক্ষকে সামাল দিতে মাঝে বেরিকেড হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ। চলে পাল্টা-পাল্টি স্লোগান। এসময় হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে জিম্মিদের মুক্তি চায় ইসরাইলের সমর্থকেরা। ৭ অক্টোবরের আক্রমণকে সমর্থন করাকে অসম্মানজনক বলে মতব্য করেন অনেকে।
অন্যদিকে ইসরাইল পন্থীদের সামনেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বানে র‍্যালী করে ফিলিস্তিন পন্থীরা। স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবির স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে লন্ডনের জেমস ডিসট্রিক এলাকা।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে গর্জে উঠেছে গোটা আমেরিকা। ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, এরিজোনা, কলম্বিয়া সহ ছোট বড় প্রায় সব অঙ্গরাজ্যেই চলছে লাগাতার বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা তাঁবু গেড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। রাতদিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখছেন তারা। ছাত্রদের সরাতে ধর-পাকড় চালাচ্ছে পুলিশ।

আন্দোলেনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেছেছে দেশটির পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকশ শিক্ষার্থী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে গ্রেপ্তার, ধস্তাধস্তি, হুমকি, বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন।

শুধু আমেরিকা-লন্ডন নয়, ধীরে ধীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশেও। ফ্রান্সে্র প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগমন ঘিরে, সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক দেন শত শত শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। আন্দোলন চলে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়েও।  ফিলিস্তিনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

এই যখন অবস্থা তখন আবারও শুরু হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা। ইতোমধ্যে এই আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য মিসরের একটি দল ইসরাইলে পৌঁছেছে। আলোচনা চলছে সৌদি আরবেও। সেখানে যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ইসরায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস এখনো আলোচনা-পর্যালোচনা করছে। এই পর্যবেক্ষণ শেষে হামাস খুব শীঘ্রই তাদের অবস্থান তুলে ধরবে বলে জানা গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close