জেলা/উপজেলানারায়ণগঞ্জরাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

নাসিক ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে স্বর্ণালী আক্তারকে দেখতে চায় ওয়ার্ডবাসী

বজ্রধ্বনি রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে কাউন্সিলর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচারনা করেছে।এমনকি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে একবার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যাচ্ছে নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন অফিস। জানা গেছে,গত সপ্তাহের সোমবার সরকারি বিধি মোতাবেক এক সিদ্ধান্তে বর্তমান বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সিটি করর্পোরেশনের নির্বাচনের এক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নির্বাচনের খবরে ভোটারদের মাঝে শুরু হয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী যাচাই-বাছাই। গত নাসিক নির্বাচনে যারা সফলতা দেখাতে পারেনি তাদের  পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রার্থীর খোঁজে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটাররা। সেই হিসাবে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নতুন প্রার্থী খোঁজ করছে ভোটাররা।পুরাতন প্রার্থীর বিভিন্ন ব্যর্থতা থাকায় চলছে নতুন প্রার্থীর খোঁজ।সেই দিক দিয়ে ইতিমধ্যে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নতুন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে  অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি যুব মহিলা লীগ নেত্রী  স্বর্ণালী আক্তারের নাম।তরুণদের মাঝে স্বর্ণালী আক্তার যেমন জনপ্রিয়,তেমনি মুরুব্বিদের কাছেও গ্রহণযোগ্য নাম।আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নাসিক ৭.৮.৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে রাজপথের ত্যাগী কর্মী,তরুণ, মেধাবী, নারী উদ্যোক্তা সমাজসেবিকা স্বর্ণালী আক্তারকে দেখতে চায় নাসিক ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডবাসী।স্বর্ণালী  বাংলাদেশ আ’লীগের রাজনীতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলীর একজন ত্যাগী যুব মহিলালীগ কর্মী।প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পুরোটা সময় জুড়ে গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে ত্রান সামগ্রী নিয়ে তিনি পাশে থেকেছেন।সাধ্যমত অর্থসহায়তা দিয়েও ওয়ার্ডের  বিভিন্ন মানুষের পাশে থেকেছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিটি রাজনৈতিক প্রোগ্রাম তিনি পালন করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আধুনিক নারায়ণগঞ্জের রূপকার একেএম শামীম ওসমানের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়েছেন তিনি। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন, শোক দিবস থেকে শুরু দলীয় সকল কর্মসূচীতে লোকজন নিয়ে অংশ গ্রহন করে আওয়ালীগের সিনিয়র নেতাদের আদরের পাত্রী হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় আগামী নির্বাচনে নাসিক ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে তার জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। নির্বাচন বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন গণতন্ত্র, রাজনীতি এবং আন্দোলন এই শব্দগুচ্ছের সঙ্গে জন্মের পর থেকেই আমার পরিচয়। আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতির বসবাস। রাজনীতি যেন আমার রক্তের প্রতিটি কণার সঙ্গে মিশে আছে। বাবার রাজনীতি দেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুধাবন করেছি যে উনার পথচলার মূলমন্ত্রই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।আমার বাবা গফুর মুন্সি ভোগের রাজনীতিতে তিনি কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না।তিনি ১০ বছর মেম্বার হিসেবে এলাকাবাসীর সেবা করেছেন। পবিত্র ভূমি সিদ্ধিরগঞ্জের  পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে যাদের সুনাম রয়েছে, তিনি তাদের অন্যতম একজন। তিনি বলেন,আজ যারা আমাকে ভালবেসে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চাইছে। তাদের ভালবাসায় আমি নিজেও প্রস্তুত, যদি আমি জয়ী হই তাহলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কাছে নিজের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে আধুনিক উন্নত ৭-৮-৯ নং ওয়ার্ড করার চেষ্টা করবো।আমি সকলের কাছে দোয়া ও ভালবাসা চাই এবং আপনারা  যেভাবে অতীতেও আমাকে ভালবেসে পাশে ছিলেন, আগামীতেও যেন সেভাবে পাশে থাকেন সকলেই। এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথের শক্তি সঞ্চয় হবে। আমার বাবা আপনাদের পাশে যে ভাবে সব সময় ছিলো আমিও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের কাজ করতে চাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close