জাতীয়
আইনী জটিলতার কারণে আটকে আছে এইচএসসির ফলাফল
আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত দেয়া যাচ্ছে না এইচএসসির ফলাফল।

এই বিষয়ে সংশোধনীর খসড়া মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে তোলা হবে। অনুমোদিত হলে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পরেই দেয়া হবে ফলাফল। এ সকল কথা জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। সব মিলিয়ে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের আগে ফলাফল দেয়া কঠিন হবে পড়বে।
ভাইরাসের কারণে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। সিদ্ধান্ত হয় জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ডিসেম্বরেই দেয়া হবে এইচএসসির ফলাফল।
গত ২৯শে ডিসেম্বর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেয়া হবে ফল।
কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আটকে গেছে ফলাফল দেয়ার প্রক্রিয়া। কারণ শিক্ষা বোর্ডের আইনে পরীক্ষা ছাড়া ফল দেয়ার কোনো নিয়ম নেই।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস.এম. আমিরুল ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষা বোর্ডের যে অর্গান গ্রাম সেখানে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল দেয়ার কোন নিয়ম নেই। অর্গান গ্রামে উল্লেখ আছে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে তা মূল্যায়ন হবে এর ভিত্তিতেই ফলাফল দেয়া হবে। যেহেতু পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল দেয়ার নিয়ম অধ্যাদেশে নাই, অধ্যাদেশটি জারি হলেই আমরা ফলাফল দিতে পারবো।
জানুয়ারির ৪ তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন হওয়ার কথা ছিল। সভা বাতিল হওয়ায় অনুমোদন হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১১ইজানুয়ারি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, আগামি ১১ তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা আছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী এটিতে সাইন করবে, এরপর এটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। তিনি অনুমোদন দিলেই অধ্যাদেশ জারি হলে ফলাফল দেয়া হবে। আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
গত ২০২০ইং সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।