নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালফতুল্লারাজনীতি

ফতুল্লা ইউপি নির্বাচনে ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী বৈধ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউপি নির্বাচনে বাছাইয়ে মোট ৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত নারী ও সাধারন পুরুষ ১৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ১১৩জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে এবং ফরম পূরনে ত্রুটি থাকায় বাতিল হয়েছে ২১ জনের মনোনয়নপত্র।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে রিটানিং অফিসার আফরোজা খাতুন এ মনোনয়নপত্র বাছাই করেন।

জানা যায়, মামলা সংক্রান্ত সমস্যায় দীর্ঘ ২৯বছর পর ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ৭জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছে। তারা হলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শাহজাহান আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আজম, পরেশ চন্দ্র দাস, কাজী দেলোয়ার হোসেন, মহসিন মিয়া ও মোহাম্মদ রিপন ফকির। তাদের ৭ জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

এছাড়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩২ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ২৭জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে এবং ফরম পূরনে ক্রটি থাকায় ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৯টি ওয়ার্ডে ১০৭জন সাধারন প্রার্থীর মধ্যে ৯১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয় এবং ১৬ জনের ফরম পূরনে ত্রুটি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই অভিযোগ মনোনয়নপত্র ক্রয়ের সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী মামুন একটি মোবাইল নাম্বার দিয়েছেন। এ নাম্বারে এসে ফরম পূরন করলে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হবে না গ্যারান্টি দিয়ে বলে ছিলেন। এরপর অনেকেই মামুনের মাধ্যমে ফরম পূরন করে বিপাকে পড়েছে। ফরম পূরন বাবদ তাকে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

নাম প্রকাশে এক প্রার্থী বলেন, বন্দর উপজেলা নির্বাচন অফিসের এক সহকারী দিয়ে ফরম পূরন করেছি। আইনজীবীদের দেখিয়েছি কেউ ভূল ধরেনি অথচ রিটানিং অফিসার বলছে ঠিকানার সাথেই ওয়ার্ড নং লিখতে হবে। অথচ ঠিকানার পাশেই রয়েছে ওয়ার্ড লিখার ঘর। সেই ঘরে ওয়ার্ড লিখায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার আফরোজা খাতুন জানান,নির্বাচন অফিসে বা অফিসের কেউ প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম পূরন করার বিধান নেই। আর অফিসের কারো কথায় বাছাই পর্বে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ফরম পূরনে ত্রুটি থাকায় ২১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা আপিল করতে পারবে। এবিষয়ে নিউজ লিখে কিছুই হবেনা।

এবিষয়ে নির্বাচন অফিসের সহকারী মামুন জানান,নির্বাচনে প্রার্থীরা টাকা খরচ করবে আর আমরা দুএক টাকা কামালেই দোষ। কাউকে বেধে টাকা নেইনি কাজ করে নিয়েছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close