
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ব্লাল্কহেডের ধাক্কায় ৯টি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা রজনীগন্ধা ফেরিডুবির ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের কাছে পদ্মায় ফেরিটি ডুবে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ, আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলসহ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে জানান, ফেরিতে ৯টি যানবাহন ও যাত্রী ছিল। ফেরিতে থাকা মানুষের চিৎকার শুনে মাছ ধরা ট্রলারে স্থানীয়রা এসে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫নম্বর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ধীরে ধীরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। যখন ফেরিটি ডুবে যায় তখন ফেরি থেকে অনেক আহাজারি ও যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। এ সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলকে জানানো হয়। পরে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
প্রসঙ্গগত, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৭টি ছোট ও দুটি বড় ট্রাক বুকিং দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নদীতে মালবাহী ব্লাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়।
এদিকে ঘন কুয়াশায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার পর কুয়াশা বেশকিছুটা কেটে গেলে ফেরি চলাচল ফের শুরু হয়।