আন্তর্জাতিক
অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলগামী ফ্লাইট বাতিলের হিরিক

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের চতুর্থ দিন আজ। এ যুদ্ধের জেরে শীর্ষস্থানীয় অনেক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তেল আবিবের বিমানবন্দরে অর্ধেকের মতো ফ্লাইট গত রোববার কার্যক্রম চালায়নি। এর মধ্যে সোমবার এক-তৃতীয়াংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
রাশিয়া ইসরাইলে তাদের রাত্রিকালীন ফ্লাইট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে ইউএস ফেডারেল অ্যাভিয়েশন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সি ও ইসরাইলের অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এয়ারলাইনসগুলোকে ইসরাইলের আকাশসীমায় নিরাপদে চলাচল করতে বলেছে; কিন্তু ফ্লাইট বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
রাশিয়া বলছে, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির কারণে তারা ইসরাইলগামী ফ্লাইটের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তারা এয়ারলাইনসগুলোকে দিনের বেলা ফ্লাইট চলাচলের সময় ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসরাইলের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, এয়ারলাইনসগুলোর ‘বর্তমান নিরাপত্তা এবং হুমকির তথ্য পর্যালোচনা করা উচিত’। তারা কিছু বিমান চলাচলের রুট পরিবর্তন করার কথাও জানিয়েছে। ইসরাইল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, দেরিতে ফ্লাইট ছাড়াটা প্রত্যাশিত। তারা এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্কতা হিসেবে ইসরাইলে আসার সময় অতিরিক্ত জ্বালানি বহণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
ভার্জিন আটলান্টিক এয়ার লাইনস জানিয়েছে, তারা কিছু ফ্লাইট চালিয়ে যাবে। তবে গ্রাহকেরা চাইলে তাদের টিকিটের জন্য পুনরায় বুক করতে বা ফেরতের অনুরোধ করতে পারেন।
যুক্তরাজ্যের ইজিজেট এয়ারলাইনস তাদের তেল আবিবগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে গত রোববার ও সোমবার। হাঙ্গেরির উইজ এয়ার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তেল আবিব থেকে আসা ও যাওয়ার সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। আয়গিয়ান, সুইস ও অস্ট্রিয়ান এয়ার লাইনসগুলো ইতোমধ্যে তেল আবিবে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। চীন, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে তেল আবিবগামী সব ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
ইসরাইলের ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ই১ এ১ জানিয়েছে, ইসরাইলি নিরাপত্তাবাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এখনো তেল আবিব থেকে তাদের ফ্লাইট চালু রেখেছে। তবে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল থেকে বিমান উড্ডয়ন করছে এখন।
গত শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে এ সংগঠনটি। শনিবার ভোর থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমন্বিত হামলা করে তারা। জবাবে ইসরাইলি সেনারাও নির্বিচারে হামলা চালায় ফিলিস্তিনে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৭০০ জন নিহত হয়েছেন।