জাতীয়
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম সংবিধান থেকে কখনো বাদ যাবে না – ড: আহমদ আবদুল কাদের

ঢাকা, ১০ এপ্রিল ২০২৩:
গত ৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে দু’জন সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীমকে বাংলাদেশের সংবিধানে জঞ্জাল উল্লেখ করে তা বাতিল করার ধৃষ্টতাপূর্ণ দাবি জানান। তাদের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের।
আজ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এবং বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমের উপস্থাপনা মূলত ৯০ ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিচয় বহন করে। এভাবে বিশ্বের ২৮টি মুসলিম দেশের সংবিধানেও রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কতিপয় উগ্র সেক্যুলার ও ধর্মহীন গোষ্ঠী কিছুদিন পর পর সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাতিলের অন্যায্য দাবি তুলে আসছে। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে এই দু’জন সংসদ সদস্য ইসলামী চেতনার সাথেই ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন। তারা ঐতিহাসিক মদিনা সনদের নামেও মিথ্যাচার করেছেন। মূলত ইনু ও মেননরা ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানদেরকে উত্তেজিত করার চক্রান্ত করছেন। ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার নামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাতিলের সকল ষড়যন্ত্র তাওহীদি জনতা রুখে দিবে। ইনু-মেননকে অবশ্যই তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।
ড: কাদের আরো বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত অধিকারগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইনু-মেননরা মূলত দেশের অখ-তার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। অবিলম্বে এই দু’জন সংসদ সদস্যকে তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশের ইসলাম ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন হুমকি তাওহীদি জনতা রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ।