আন্তর্জাতিকখেলাধুলা

ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতারের যত খরচ

প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ বসছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমির দেশ কাতারে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হয় কাতার। এরপর পার হয়েছে ১২ বছর। অবশেষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নভেম্বরে ২০ তারিখে মরুর বুকে বসতে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।

তবে, কাতারের মতো একটি দেশ কিভাবে ফিফার মতো এত বড় একটি মহাযজ্ঞের আয়োজক হলো, সেটা দেখে অবাক বিশ্ব। কেননা পশ্চিমাদের পেছনে ফেলে লবিং এর মাধ্যমে এমন একটি সুযোগ ছিনিয়ে আনাটাও কম কষ্টসাধ্য ছিলো না। তবে বিগত ১২ বছরে বিশ্বকাপ আয়োজনে কোন রকমের কমতি রাখেনি কাতার।

২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনে যেখানে রাশিয়ার খরচ যেখানে হয়েছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে এবার কাতারের ব্যয় দুইশো বিশ বিলিয়ন। টাকায় যা প্রায় ১৮ লাখ ৯৭ হাজার কোটি। সিংহভাগ ফুটবলার ও সমর্থকদের সুবিধা দিতে খরচ করা হচ্ছে। ৩২টা দলের জন্য থাকছে আধুনিক মানের হোটেল, বিশ্বমানের অনুশীলন সুবিধা। লাখ লাখ সমর্থকের জন্যও আয়োজনের কমতি রাখছে না কাতার। এক একটি স্টেডিয়ামের সমান আয়তনের ফ্যান জোন নির্মান করা হচ্ছে শুধু খেলা দেখার জন্য। আর এইসব খাতেই খরচ পড়েছে প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল খাত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশ্বকাপের সময় কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আকাশ পথে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আমুল পরিবর্তন এনেছে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দোহা মেট্রো, লাইট রেইল ট্রাম প্রকল্পের পাশাপাশি আসর চলাকালে থাকবে কয়েক হাজার বিশেষ বাস। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিমানবন্দরে আলাদা টার্মিনালও তৈরি করেছে কাতার। সবমিলে এ খাতে খরচ ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা।

অর্থব্যয়ের বড় অংশজুড়ে আছে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মান। যে প্রকল্পে দেশটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। নতুন আট ভেন্যুর পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলোতে থাকছে শতভাগ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। আধুনিক কুলিং প্রযুক্তিতে শুধু স্টেডিয়াম ঠান্ডাই থাকবে না বরং বাতাসকে রাখবে দুষণমুক্ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close