সারাদেশ
স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে গলায় ফাঁস নিলেন তরুণ

রাফি তালুকদার:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মো. সুমন (১৯) নামের এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শিমুলকান্দি কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মো. সুমন কান্দিপাড়া গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। তিনি ভৈরবে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে পৌর শহরের কমলপুর এলাকার মেয়ে শিখা বেগমকে বিয়ে করেন সুমন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। দুদিন আগে শিখা বেগম মারা যান। এর দুদিন পর শুক্রবার সকালে সুমনকে তার নিজ বসতবাড়ির পেছনের বাগানে একটি গাছের ডালে রশিতে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরে স্বজনরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সুমনের প্রতিবেশী মো. রিমন বলেন, ‘সুমন খুব ভালো ছেলে ছিল। সে একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করতো। বিয়ে করেছে ছয় মাস হবে। হঠাৎ বিয়ের ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী মারা যাওয়ায় সে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ে। স্ত্রীর মৃত্যুর শোক সহ্য না করতে পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে।’
সুমনের বাবা কাশেম মিয়া বলেন, ‘দুদিন আগে ছেলের বউটা মারা গেলো, আজ সকালে আমার ছেলেটা মারা গেলো। দুদিনের ব্যবধানে পরিবারের দুজনকে হারালাম। আমার ছেলে তার বউকে খুব ভালোবাসতো। সেজন্যই তার মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেনি। সে যে এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সেটা কখনো আমরা ভাবিনি।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম মোল্লা জানান, ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীর মৃত্যুর শোকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।



