নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদররাজনীতি
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব বুঝে নিলেন আনোয়ার হোসেন
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহামুদুর রহমান কাছ থেকে প্রশাসকের দায়িত্ব বুঝে নেন সদ্য বিদায়ী এই চেয়ারম্যান।
এর আগে জেলা পরিষদের প্রধান ফটকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আনোয়ার হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনোয়ার হোসেন-কে স্বাগত জানিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। নবনিযুক্ত জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ও মিসেস রাজিয়া সুলতানা আনোয়ারকে স্বাগত জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহামুদুর রহমান, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, উপ সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন পালিত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান।
এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, বিদায়ী সদস্য সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, মোস্তফা চৌধুরী, ফারুক হোসেন, হাজী আলাউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মুজিবুর রহমান, মাহবুবে এ রোমান, এড. নূরজাহান, কবিতা, শিলা রানী পাল। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভুইয়া, কার্যকরি সদস্য শামসুজ্জামান ভাষানী, শহিদুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, সহ দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী, ত্রাণ ও পূণবার্সন বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, সুমি, শামীম খা, শাহাজাহান খোকন, মোশাররফ হোসেন জনি, এড. সিরাজুল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী হাসান সজীব ও আমির হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, কুতুবপুর ইউপি ৮নং মেম্বার ইমান আলী, ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার রঞ্জু ও ৩নং মেম্বার আব্দর বাতেন প্রমুখ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অসুস্থতা থাকা অবস্থায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনীত করে ছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সত্যতার সাথে চেষ্টা করেছি সঠিক দায়িত্ব পালন করে জেলা পরিষদের উন্নয়নের ছোয়া সারা নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে দিতে। ইতিমধ্যে আপনারাই বলেছেন, আনোয়ার হোসেন জেলা পরিষদ কি? নারায়ণগঞ্জে পরিচিত লাভ করতে পেরেছেন। ১৩১ বছরের পুরাতন এই জেলা পরিষদ, এর মধ্যে অনেক উন্নয়ন করেছে, কিন্তু জেলা পরিষদের নাম কোথায় ছুইতে পারে নাই। আমি দায়িত্ব নেয়া পর সকল সদস্যদের সম্মতিতে বলেছিলাম, যেখানে জেলা পরিষদের উন্নয়ন হবে সেখানে জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড থাকতে হবে।
এরই মধ্যে রূপগঞ্জ আড়াইহাজার সোনারগাঁ ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ বন্দর ও সিটি এলাকায় জেলা পরিষদের উন্নয়ন চারিদিক ছড়িয়ে পড়েছে। মসজিদ মন্দিরে আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ভবন সহ বিভিণ্ন উন্নয়ন করেছি। মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারো কাজ করার জন্য এই জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের সকলের দোয়া চাই। আমার রাজনীতি জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি, মানুষের সহযোগিতায় পাশে দাড়িয়েছি। মানুষ কে বিশ্বাস করেছি, মানুষকে ভালোবেসিছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে মহান আল্লাহ তায়ালকে পাওয়া যায়। এই জিনিসটা আমি শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখেছি।
আমি বিশ্বাস করি, জেলা পরিষদের আমার কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সমন্বয়ে আলাপ আলোচনা মাধ্যমে জেলা পরিষদের উন্নয়নে আবারো ছোয়া লাগবে। জেলা পরিষদের উন্নয়ন, আমার উন্নয়ন। জেলা পরিষদের উন্নয়ন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন। জেলা পরিষদের উন্নয়ন, আমার জাতির উন্নয়ন।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৭ এপ্রিল) সরকারের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান হন পাচঁ বছরের বেশি থাকা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। এর দশ দিন পর ২৭ এপ্রিল সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি মাধ্যমে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তারই ২৪ দিন পর জেলা পরিষদে দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব নিলেন আনোয়ার হোসেন।