অপরাধআইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জবন্দর

না’গঞ্জের বন্দরে মিশুক চালক কায়েস’র নিখোঁজের ৪ দিন পর জবাইকৃত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আবারও নিখোঁজের ৪ দিন পর হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় কায়েস (১৫) নামের এক মিশুক চালকের জবাইকৃত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
শনিবার (১ অক্টবর) সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার একটি ধানক্ষেতের ভিতর থেকে ওই মিশুক চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিশুক চালক কায়েস বন্দর থানার নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ অলেম্পিক হাউজিং এলাকার আবুল কাশেম মিয়া’র পুত্র। এর আগে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে উল্লেখিত মিশুক চালক নিখোঁজ হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিশুক চালকের মৃতদেহটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে  ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত মিশুক চালকের মা শারমিন বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।
নিহত মিশুক চালকের মা শারমিন বেগম গনমাধ্যমকে জানান- আমার ছেলে কায়েস জীবিকার তাগিদে উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার সফিক মিয়ার মিশুক দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) ভোর ৬টায় প্রতিদিনের ন্যায় কায়েস মিশুক গাড়ী নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমার মিশুক চালক ছেলে কায়েস’র কোন হদিস না পেয়ে আমি গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বন্দর থানায় নিখোঁজের জিডি দায়ের করেছিলাম।
এদিকে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানাতে পারি গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলে ভাড়াকৃত মিশুকটি তার মালিক সফিক মিয়া মদনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ধানক্ষেতের ভিতরে অজ্ঞাতনামা লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করে। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি সহ আমার আত্মীয় স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমার ছেলে কায়েস’র মৃতদেহ সনাক্ত করি।
এবিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানান- আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মিশুক চালক কায়েস’র হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য বন্দর থানা পুলিশ মাঠে রয়েছে। আশা করছি অচিরেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ হত্যাকারিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close