আগামী ৩ ডিসেম্বর ঘোষিত তারিখে ছাত্রলীগের সম্মেলন হচ্ছে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের এই তারিখ ঘোষণা করেছিল। ৩ তারিখের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় কয়েকটি জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
সে সভা শেষেই এই কথা জানানো হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করে দেবেন। এর আগে, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সংগঠনগুলোর সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখের ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা।
ওই সভা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৩ ডিসেম্বর। এছাড়া ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ ও ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী। চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পদচ্যুত হন তারা। তাদের স্থলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারমুক্ত করা হয়। জয়-লেখক প্রায় তিন বছর ধরে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন।
