বরিশাল বিভাগরাজনীতি
বরিশালে খেলাফত মজলিসের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শান্তি চাইলে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে ---আবদুল বাছিত আজাদ

এমদাদুল্লাহ্, স্টাফ রিপোর্টার:
খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার। ২০১৪ সালে ভোটের আগেই ১৫৪ জন এমপি হয়ে গেছেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এ সরকার নৈতিকভাবে অবৈধ সরকার। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারছে না। বর্তমান সরকারের অধিনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার শান্তি চাইলে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দল নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবিতে আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
(২২ জুলাই) শনিবার বেলা আড়াইটায় বরিশাল টাউন হল চত্ত্বরে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান ও বরিশাল পূর্ব জেলা সভাপতি অধ্যাপক মুয়াজ্জেম হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশের প্রধান বক্তা সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, অতীতে কোনো সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাই তত্ত্ববধায়ক অথবা যে নামেই হোক, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আলেম উলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক সিরাজুল হক বলেন, গণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে হলে খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শের আলোকে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার দাবি হচ্ছে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হবে। রাশেদ খান মেনন ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে সিরাজুুল হক বলেন, বর্তমান সরকার রাতের আধারে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করছে। এটা শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারী দল ও জোটের নেতারাও বলছেন যে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, দল নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে যে তামাশা হয়েছে তাতে বিদেশেও দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এ অবস্থার উন্নতির জন্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদিস মাওলানা শাব্বীর আহমদ, ডাক্তার আবদুল্লাহ্ খান, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আবদুল মজিদ, কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, বরিশাল মহানগরী সভাপতি মাওলানা আবদুল কাদের হোসনাবাদী, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান, বরগুনা জেলা সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভোলা জেলা সভাপতি মাওলানা আবু জাফর আবদুল্লাহ্, পিরোজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলাম, বরিশাল পশ্চিম জেলা সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, বরিশাল মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শামসুল আলম নজরুল, বরিশাল পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নকিবুল আলম আলমগীর, পটুয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুল আহসান, বরগুনা জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুস সালাম ফরাজী, ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মফিজুল ইসলাম, পিরোজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ্, বরিশাল পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল ইসলাম, ঝালকাঠী জেলা সাধারণ সম্পাদক রকিব বিন রাজ্জাক পলাশ প্রমুখ।