
ঘাতকের গুলিতে সীমান্তে প্রাণপ্রিয় সন্তানের নিষ্প্রাণ দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য এখনও তাড়া করে বেড়ায় ফেলানীর বাবা-মাকে। তবে সন্তানের গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্যের বেদনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এক দশক ধরে ঝুলে থাকা বিচার প্রক্রিয়া। ন্যায় বিচার পাবার আশায় তারা তাকিয়ে আছেন ভারতের উচ্চ আদালতের দিকে।
তাদের প্রত্যাশা, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানীকে হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের শাস্তি মিলবে। হবে ন্যায় বিচার। ফেলানী হত্যার দশম বার্ষিকীতে এমনটাই জানিয়েছেন তার বাবা নুর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেলানীর রূহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেছে তার পরিবার। এলাকায় মুদি দোকান চালিয়ে সংসার চালান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ দশ বছরেও ফেলানীর স্মৃতি এতটুকু মুছে যায়নি।
তার রূহের মাগফেরাতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি। তবে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে যখন ঘাতক অমিয় ঘোষের শাস্তি মিলবে। আমার বিশ্বাস ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আমাদের মেয়ে হত্যার সুবিচার করে ঘাতককে শাস্তি দেবে, এই আশা নিয়েই বেঁচে আছি।’