নির্বাচনী হালচাল
বিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিমন্ত্রী টুসি
গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে এলাকার উন্নয়ন দেখভালের নামে নির্বাচনী এলাকায় ভাইয়ের পক্ষে নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারনার অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ মে) দিনব্যাপী তিনি শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে শতাধিক নেতাকর্মীদের উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তার ভাই শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। হঠাৎ নির্বাচনী এলাকায় প্রতিমন্ত্রী সফর নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনিয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা জানান, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়, তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (৪ মে) সকালে প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা শ্রীপুর উপজেলায় আসেন। এসে উন্নয়ন কার্যক্রম দেখভালের নামে সাধারণ মানুষ সাথে কুশল বিনিময় করে তার ভাইয়ের পক্ষে ভোট চেয়েছেন।
আশরাফুল ইসলাম সজিব নামের এক যুবলীগ নেতা তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি আপা গাজীপুর-৩ আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন। কোন রাস্তার কাজ কতটুকু সম্পন্ন হলো, কোন রাস্তাগুলো প্রায়োরিটি ভেসিসে করে ফেলা উচিৎ। একজন প্রতিমন্ত্রীর এভাবে ঝটিকা সফর করে নিজ আসনের জনসাধারণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়াটা উদাহরণ হয়ে থাকুক। শৈলাট, গাজীপুর, বরমী, কাওরাইদ, শ্রীপুর হয়ে গোসিংগা ইউনিয়নে ওনার হাতে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গুলো কাউকে না জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেন আজকে৷
এবিষয়ে জানতে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্যে নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মামুনুল করিম বলেন, উনি (প্রতিমন্ত্রী) তো এলাকায় যেতেই পারেন। তবে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমি ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি, এরকম কোনো কিছু হলে আমাকে জানাতে। তদন্ত রিপোর্টে কিছু পেলে তখন দেখা যাবে। তখন নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।