সারাদেশস্বাস্থ্য বার্তা

তীব্র শীতে লালমনিরহাটে জনজীবন বিপর্যস্ত

গত তিন দিনের মাঝারি শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্ষস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা হু হু করে বাড়ছে। সারাদিন বইছে ঠান্ডা কনকনে বাতাস, সেই সাথে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

প্রচন্ড শীতের কারণে একদিকে যেমন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়েছে। অপরদিকে শীতের প্রকোপে হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯০ জন রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

 

এদিকে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তা, ধরলা তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কয়েক দিন থেকে কাজকর্ম না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় সাধারস মানুষের শীতে কাপড় না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। মহাসড়ক গুলোতে বাস,ট্রাক,মোটরসাইকেল হেডলাইড জালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

লালমনিরহাটে গত শুক্রবার সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, তিস্তা নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়ন তাই এই এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশী। সরকারী ও ব্যক্তিগত ভাবে এলাকায় প্রায় পাচঁশত শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও শিশু ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ উপজেলায় ৯০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন ৩০ জন। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close