জেলা/উপজেলানারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ
দিন রাত ওয়ার্ডবাসীর সেবায় ব্যস্ত কাউন্সিলর রুহুল ও ওয়ার্ড সচিব সাইফুল
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা ও তাঁর ওয়ার্ড সচিব মো: সাইফুল ইসলাম দিনরাত নিরলসভাবে ওয়ার্ড বাসীকে নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওয়ার্ড বাসীকে নাগরিক সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কাউন্সিলর ও তাঁর ওয়ার্ড সচিবকে রাত ১০-১১ টা পর্যন্তও মাঝে মাঝে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ভূমিষ্ঠ থেকে মৃত্যু সনদ পর্যন্ত নগরবাসীর সমস্ত প্রকার নাগরিক সেবার কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস। আর কাউন্সিলর কার্যালয়টি’র মূল সঞ্চালক ওয়ার্ড সচিব। তাই সচিবদের দায়িত্বে অবহেলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কেও বিরূপ ধারণা জন্মাতে পারে। আর তাই সর্বদাই নাগরিক সেবা দ্বোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে দায়বদ্ধতার খাতিরে জনবহুল ওয়ার্ড বাসীর প্রয়োজনে দিন-রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা ও তাঁর ওয়ার্ড সচিব সাইফুল। কাউন্সিলর রুহুল মোল্লার এ দায়িত্ববোধ ও ওয়ার্ডবাসীকে নিরলস সেবা প্রদানের কারণে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কর্তৃক জেলার শ্রেষ্ঠ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল। নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের ভূইয়াপাড়া, আরামবাগ, বাড়ৈপাড়া, তাঁতখানা, সৈয়দপাড়া, আইলপাড়া, এনায়েতনগর ধনকুন্ডা এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সচিবকে তাঁরা প্রয়োজনে সবসময়ই কাছে পাচ্ছেন। সেই সাথে পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবাও।
এনায়েত নগর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আমাদের ৮নং ওয়ার্ডের জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তাঁর ওয়ার্ড সচিব দুজনই অত্যন্ত ভালো ও উদার মনের মানুষ। জন্মনিবন্ধন, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা বইয়ের নিবন্ধন কাজের জন্য কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সবসময় সেবা পেয়েছি। রাতের বেলায় ও কাউন্সিলর ও সচিবকে আমরা অফিস করতে দেখি। আমরা ওয়ার্ডবাসী নাগরিক সেবায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট।
নাসিক কাউন্সিলর রুহুুুল মোল্লা বলেন, আমি ওয়ার্ডবাসীর ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁদের সেবা করা আমার জন্য ফরয। আমার এলাকায় মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। আর অন্যান্য ওয়ার্ডের তুলনায় জনসংখ্যাও অনেক বেশি। টানা দুইবার আমি এই ওয়ার্ডের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি কয়েক হাজার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছি এবং এখনও যারা এই তালিকাভুক্তির আওতায় আসছে তাদের সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়া রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণ, নিরাপদ পানির পাম্প স্থাপন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছি। বর্তমানে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মতো উন্নয়নমূলক কাজ আমার ওয়ার্ডে চলমান রয়েছে। আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি মানুষের সেবায় কাজ করে যেতে চাই।