সারাদেশস্বাস্থ্য বার্তা
নির্ধারিত সময়েই টিকা পাবে বাংলাদেশ: বেক্সিমকো
ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশের সঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তির কোন হেরফের হবে না বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর সিইও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টিকা পাওয়া যাবে। এদিকে, ভারতের চাহিদা পূরণ না করে রপ্তানি বন্ধ, দেশটির এমন সিদ্ধান্তে দোষের কিছু দেখছেন না ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান। তিনি বলেন, হার্ড ইমিউনিটির জন্য ভারতে কমপক্ষে ত্রিশ কোটি ভ্যাকসিন দরকার তাই এখনই রপ্তানি যৌক্তিক নয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাত পাঁচ না ভেবে চুক্তির মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ। দ্রুত বিকল্প খোঁজার তাগিদ তাদের।
কথা ছিল চলতি মাসেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে নেয়া অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পাবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে এরই মধ্যে সেরামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে ৬০০ কোটি টাকা। এমন বাস্তবতায় ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত সরকার।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান ড. কে কে আগারওয়াল বলছেন, ভারতের মতো জনবহুল দেশে যেখানে ২০ শতাংশ মানুষের চাহিদা মেটাতে ত্রিশ কোটি ভ্যাকসিন দরকার। সেখানে এখনই রপ্তানি যৌক্তিক না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তির আগেই আরো ভালোভাবে ভেবে দেখলে এমন অবস্থা হতো না। তারা বলছেন এখনই দরকার বিকল্প খোঁজার।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক বলেন, এখন বাংলাদেশ সরকারকে কূটনৈতিক চাতুর্য্যের সাথে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আরো অন্য কোনো টিকা দানকারী সংস্থা, যেমন অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করতে পারে। গোভি কোভিক্স- এর সাথেও যোগাযোগ করে কত দ্রুত পাওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে আলাপ করে দেখতে পারে।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো বলছে নির্ধারিত সময়েই দেশে আসবে সেরামের করোনা ভ্যাকসিন।
বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা টেলিফোনে জানান, আমরা আলোচনা করেছি, উনাদের কাছেও কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি যে তারা কোন মার্কেটে দিতে পারবে কোথায় দিতে পারবে না। আমাদেরকে যে দিতে পারবে না, এ ধরনের কোনো খবর উনাদের কাছে নাই। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, এ ভ্যাকসিন নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে কথাবার্তাও হয়েছে। আমরা এখন আত্মবিশ্বাসী। যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।
এ বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফিরতি মেইলে বিষয়টি নিয়ে পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী।