দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বরাতে দৈনিক বজ্রধ্বনি “নেশার টাকা না দেয়ায় বৃদ্ধ মায়ের চুল ছিড়লো ছেলে“ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাইসুল ইসলাম রুবেল।
তার প্রতিবাদলিপী হুবুহু তুলে ধরা হলো:-
প্রবাসী মামা আমার মাকে পৈতৃক ওয়ারিস সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার নীল নকশার বহিঃপ্রকাশ। মামা দীর্ঘদিন ধরে আমার মাকে,মামার সম্পত্তি দেখভালের জন্য আমাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাচ্ছিলিন। তারই ধারাবাহিকতায় আমার মাকে ভুলভাল বুঝিয়ে পরিবারে অশান্তি করিয়ে আসছিল।
স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা এই সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আমার বাবা বাধ্য হয়ে,বৃদ্ধ বয়সে তালাকনামা পাঠান দুই মাস আগে, কিন্তু আমার মামার প্ররোচনায় আমার মা তালাকনামা পাওয়ার পরও আমাদের বাসায় অবস্থান করে নানা ভাবে আমার বাবাকে নির্যাতন করেন। বাবা বাধ্য হয়ে আমার চাচার বাসায় আশ্রয় নেন। স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলেও মামা প্রভাবখাটিয়ে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেন।
তার দাবী, আমি গত দুই-তিন মাস ধরে অভিমানে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে ঢাকায় অবস্থান করছি। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি আমার মায়ের চুল ছিড়েছি, ষাটোর্ধ মায়ের সকল চুলই পেকে সাদা হয়েছে,কিন্তু ছবিতে ছেড়া চুলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন সকল চুলই কালো, যা আমার মায়ের নয়। তামাক বা নেশাজাতীয় কোনো দ্রব্যের সাথে আমার পরিচয় নেই। মানহানিকর সংবাদে যা বলা হয়েছে তা পুরোই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এবং আমার গ্রামের স্থানীয় প্রতিনিধিদের কথা না বলে এবং এর সত্যতা যাচাই করা হয়নি এই মিথ্যা সংবাদে ।
প্রথমে তারা আমার ৭০ বছর বয়সী বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে, কিন্তু অযৌক্তিক ভেবে তা আর প্রকাশ করেনি। পরে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মত।
আমাদের জানামতে যেদিন সংবাদ প্রকাশিত হয় সেদিন উক্ত সাংবাদিক কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন। তথাপি তার নামে সংবাদ কিভাবে প্রকাশিত হলো সেটাও যাচাই করার অনুরোধ রইলো। এমনকি সংবাদ প্রকাশের আগে দৈনিক যুগান্তর এর কোনো প্রতিনিধি আমার বা আমার বাবার সাথে কোনধরনের যোগাযোগ করেনি ।