আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াতে ইসলামী দোষী। বিচারের প্রক্রিয়াটা শুরু হবে এবং বিচারের প্রক্রিয়াটি কী হবে সেটি আমি আজকেই বলতে পারব না।
রোববার ( ১১ জুন ) ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। এ সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। এলআরএফ‘র সভাপতি আশুতোষ সরকার সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারোয়ার হোসেন ভূঞা সভাটি পরিচালনা করেন।
একদিকে জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আইন করা হচ্ছে অন্যদিকে তাদেরকে ১০ বছর পর সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এই দুইটি পরস্পর সাংঘর্ষিক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলব, এটিকে আমি সাংঘর্ষিক মনে করি না। তার কারণ হচ্ছে বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাবাস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াত দোষী।’
জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে বিচার করার জন্য যে আইন সংশোধন করার কথা আমি ইতিপূর্বে বলেছি, সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। এই আইনটি সংশোধনের জন্য কিছুদিনের মধ্যে কেবিনেটে যাবে। আপনারা হয়ত জানেন সভা-সমাবেশ করার অনুমতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। ওনারা কি বিবেচনায় দিয়েছেন এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে আমেরিকা সরকারের একটা নীতি। এটি যদি তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি এটি কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের এ ব্যাপারে আপত্তি আছে। সেই সঙ্গে ভিসানীতিতে আমাদের বিচার বিভাগকে কেন টেনে আনা হলো, সেটিও স্পষ্ট করার জন্য বলেছি।’