
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো ‘কারণ ছাড়াই’ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মো. আব্দুল্লাহ বিন মুন্সি নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মূহিদের বিচার চেয়ে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মারধরের শিকার আব্দুল্লাহ। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক| তার বাড়ি নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে। গত ৩১ জানুয়ারি নবীনগর ও কসবা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মূহিদ বলেন, ‘উভয় পক্ষের লোকজন সেখানে জড়ো হওয়ার অবস্থায় ছিল। বৃহত্তর ক্ষতি এড়ানোর স্বার্থে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার সময় হয়তো উনি (আব্দুল্লাহ) আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, যেহেতু উনি সেখানে ছিলেন। কিন্তু তাকে বিশেষভাবে হামলার অভিযোগটি সঠিক নয়।’
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ বলেন, কাইতলা দক্ষিণ ইউপি নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টায় গোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আমি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসি। ভোট দেওয়ার সময় ছাড়া আমি কেন্দ্রের আশপাশেও যাইনি। বেলা ৩টার দিকে আমি কেন্দ্রের নির্ধারিত ১০০ গজ সীমানার বাইরে ছিলাম। এ সময় একজন পুলিশ কনস্টেবলের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটকেন্দ্রের দিকে আমাকে আসতে নির্দেশ দেন। আমি কেন্দ্রে সীমানার কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাজিস্ট্রেট আমার ওপর লাঠিচার্জ করার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় চার জন বিজিবি সদস্য আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। কারণ জানতে চাইলে ‘ঐ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তুই ছাত্রলীগ করিস, অনেক বড় মাস্তান হয়ে গেছিস। ছাত্রলীগের হ্যাডাম বের করছি তোর।’ এরপর আমার বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা আনার অভিযোগ আরোপ করে ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিদ তার সঙ্গে থাকা ফোর্স নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওপর হওয়া হামলাকে বর্বরোচিত উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিচার দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ। এসময় জেলা ছাত্রলীগের উপ-সমাজ সেবাবিষয়ক সম্পাদক শাহ জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।