নারায়ণগঞ্জ

স্বৈরশাসক তিন তিনটি নির্বাচন করে জনগণকে ভোটের অধীকার হরণ করেছে: গিয়াসউদ্দিন

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: গেলো ১৬ বছরে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পরে ৫ আগষ্টের পরে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীণ সরকার। ইতিমধ্য দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, আইনের শ্বাসনকে, মানুষের মৌলিক অধিকার, শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। এগুলা প্রতিষ্ঠা করার দরকার। রাষ্ট্র মেরামতে ২০২৩ সালে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফা দিয়েছে। স্বৈরশাসক তিন তিনটি নির্বাচন করে জনগণকে ভোটের অধীকার হরণ করেছে। তাই এ সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। ভোটের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হউক। সামনের নির্বাচনকে প্রতিবন্ধকতা করতে স্বৈরশাসকেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে নতুন কোর্ট সংলগ্ন ফতুল্লা থানা বিএনপি অফিস সংলগ্ন এক মাঠে ফতুল্লা থানা বিএনপি’র আয়োজনে শহীদ জিয়াউর রহমান’র ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এ-সব কথা বলেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্বা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন- বিএনপি বৃহত্তর রাজনিতী দল। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, সংস্কার যেমন প্রয়োজন তেমনিভাবে নির্বাচনও চেয়েছে। আমাদের নেত্রী দেশের রাজনীতি অঙ্গণে সর্বশ্রেষ্ঠ অভিভাবক। তিনি বলেছেন ড. ইউনুস সরকারের সাথে যেন ভূল বুঝা-বুঝি যেন না হয়। আজকে তারা কোথায়। লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগেও তারা এদলকে ষড়যন্ত্র করে এ দলকে বিভক্তি করতে পারে নাই, এখনও পারবে না। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা’র গডফাদাররা চুনপুটিরা নাই হয়ে গেছে। সে ছিল মিথ্যাবাদী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাস। সে যেমন অসভ্য নেতা তেমনই অসভ্য কর্মী তৈরী করেছে। শেখ হাসিনা’র কুলাঙ্গারদের শাস্তি এ মাটিতে হতে হবে। এখানে ত্বকিহত্যা থেকে শুরু করে অনেক নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জে প্রশাসন জুলাই বিপ্লবদের নিয়ে তামাশা করছে। প্রশাসন আজও তদন্তের মাধ্যমে চার্জশিট দিচ্ছে না! হত্যা মামলা নিরপরাধ ব্যক্তিদের বাদ কেনো দিচ্ছে না। যে অন্যায় করে নাই তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হউক। আর যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হউক। আপনারা ২ কমিটিকে নিয়ে একমঞ্চে উঠার ব্যবস্থা করতে হবে। সে-ই মঞ্চে কারোর কোন নাম থাকবে না। কোন প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথি থাকবেনা। নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নাই, খেলার মাঠ নাই। এ জেলা ধনী জেলা অথচ শ্রমিকদের বাসস্থান নাই তাদেরকে পূনর্বাসন করতে হবে। শহরে যান-জট নিরসন করতে হবে।

‎ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা’র সভাপতিত্বে ও থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এড. এস. এম. মাহমুদুল হক আলমগীর, থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. খন্দকার মোঃ আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সীমান্ত প্রধান, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাসেল মাহমুদ, জেলা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল সহ অন্যান্য বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close