জাতীয়রাজনীতি

নির্বাচনকে সামনে রেখে আসছে ইসলামী দলগুলোর জোট

এমদাদুল্লাহ্, বজ্রধ্বনি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসছে ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী জোট।

এই জোট নিয়ে অনেক আশান্বিত হয়ে আছে সাধারণ জনগণ। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামপন্থীদের ভোট বাক্স ভরে দিতে। রাস্তে ঘাটেও শুনা যায় তাদের মনের কথা। জনসাধারণের ভাষ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর অনেক দলকেই দেখেছি। এবার হুজুরদের পালা। সব ইসলামী দল এক হয়ে আসলে এবার আমরা হুজুরদেকেই ভোট দিবো। এমনটিই জানা গেছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সাথে কথা বলে।

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, ইসলামপন্থীদের নির্বাচনী জোট প্রায় চূড়ান্ত। এখন ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। আশা করা যায়, এবার ইতিহাস পাল্টে যাবে। নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। ছোট বড় প্রায় সকল ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন সময় বড় দল গুলোর ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এবার আর নয়, এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার পালা বদলের। সময় এসেছে ভবিষ্যতে ইসলাম বিজয়ের পথ প্রসস্থ করার।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন, ৩০০ আসনে সকল ইসলামী দলের পক্ষ থেকে একটিমাত্র ব্যালট থাকবে।

আলোচিত ইসলামী দলগুলোর এই জোটে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে থাকছে- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (দাড়িপাল্লা), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুরগাছ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), খেলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি) এবং অনিবন্ধিত দল নেজামে ইসলাম পার্টি। এই ছয়টি দলের আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত। জামায়াত ছাড়া বাকি পাঁচটি দল একাধিক বৈঠক করেছে। একসাথে কর্মসূচি ও বিবৃতি দিয়ে আসছে। জামায়াতের সাথে আনুষ্ঠানিক যৌথ বৈঠক না হলেও পৃথক পৃথক বৈঠক হয়েছে অনেকগুলো দলের। পর্দার আড়ালেও চলছে আলোচনা।

এছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) ও ইসলামী ঐক্যজোটও (মিনার) ইসলামী দলগুলোর ওই জোটে সম্পৃক্ত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই তিনটি দল আওয়ামী লীগের আমলে বিতর্কিত নির্বাচনে অংশে নেয়া ও আওয়ামী লীগের সাথে যোগসাজশ থাকায় তাদের ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। ইসলামী ঐক্যজোট আওয়ামী লীগের পতনের পর দলের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ্কে বাদ দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নির্বাচন করে দলকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষকে প্রতারণার রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে ইসলামপন্থীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজী, দখলবাজী এসব অপরাজনীতির বিকল্প এখন ইসলাম। গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের তান্ডবের শেষ হতে না হতেই নতুনভাবে হাজির হয়েছে আরেক দল। হাট-বাজার, খেয়াঘাট, গরু ছাগলের হাট দখল, প্রশাসনকে জিম্মি করে অবৈধভাবে নিজেদের স্বার্থ আদায়, গরীবের হক নষ্ট করে ১০ কেজি চাউল ও অর্থ আত্মসাৎ এবং কার্ড বাণিজ্যের রাজনীতির কারণে সাধারণ মানুষ এখন অতিষ্ঠ! এর মাঝে আবার চলছে নিজেদের দলীয় কেন্দলে হতাহতের ঘটনা। এ অবস্থার পরিবর্তন চাচ্ছে দেশের জনগণ। এমনটিই জানালেন ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close