অপরাধঢাকা

মিরপুরে মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং ২য় পর্ব এলাকায় জমি প্রতারণার মাধ্যমে দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ করেছেন মোহাম্মাদ বাইজিদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী। তার অভিযোগ, পল্লবীর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন এলাকার এক মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে জমিটি কেনার দাবি করছেন। তার নামে জাল-জালিয়াতির দলিল সম্পাদনার মাধ্যমে জমিটি দখলের পাঁয়তারা করছেন।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইজিদ হোসাইন এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ও তার ব্যবসায়িক অংশিদাররা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছ থেকে জমিটি কিনে ও সীমানা প্রাচীর দিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নিজাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমিটি দখলের পাঁয়তারা করেন। খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জমিটি নিয়ে মামলা চলমান থাকায় আদালত থেকে আদেশ না আসা পর্যন্ত সেখানে কেউ যেন ঝামেলা না করেন তার নির্দেশনা দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাইজিদ হোসাইন বলেন, গত রোববার জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেন। প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীর কখনোই জমিটিতে দখলে ছিলেন না। তিনি নূরজাহান বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি ক্রয়ের দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে, জমির খতিয়ানে যে নূরজাহান বেগমের নাম আছে তিনি ২০০৫ সালে মারা গেছেন। আর নূরজাহান যতটুকু জমি পেতেন, তা ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে নূরজাহান বেগমের নামে ভুলক্রমে যে সিটি খতিয়ানে রেকর্ড হয়েছে, তা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ক্রয়কৃত জমি। আর এজন্যই ইস্টার্ন হাউজিং প্রতিকার চেয়ে মিরপুর ভূমি অফিসে দ্বারস্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন যে নূরজাহান বেগমের কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে দাবি করেছেন, তার এনআইডির তথ্যের সঙ্গেও প্রকৃত নূরজাহান বেগমের কোনো মিল নেই। সিআইডির রিপোর্টেও তা প্রমাণ হয়েছে। নামজারি বহাল পেতে জাহাঙ্গীর হোসেনকে মিরপুর ভূমি অফিসের কানোনগো আব্দুল বাতেনকে নাকি ৩০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই দাবি করে বাইজিদ হোসাইন আরও বলেন, আমি জমি ক্রয় করেছি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নিকট থেকে। তার (জাহাঙ্গীর) চাওয়া-পাওয়া থাকলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আবার তার জমির কগজপত্র সঠিক হলে আমি নিজে তার জন্য ইস্টার্ন হাউজিং কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করব বলেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রয়োজনে কোম্পানি আমার প্লট চেঞ্জ করে দেবে, এতে আমার সমস্যা নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close