কমলগঞ্জ উপজেলা
পূর্ব বিরোধের জের: কমলগঞ্জে দলবল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের বসতঘর ভাঙ্গচুর; আহত-১
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষারে দলবল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের বসতঘর ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদনগর বাজারের অদূরে নয়বাজার-চৈত্রঘাট সড়ক সংলগ্ন সিদ্দেক মিয়ার বসতবাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। এসময় বাড়ির মালিক সিদ্দেক মিয়া আহত হন।
জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পতনঊষারের স্থানীয় একটি মহল দলবল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রোববার দুপুরে মিছিল সহকারে সিদ্দেক মিয়ার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় টিনসেডের ঘরে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও ভেতরে থাকায় জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর ও তছনছ করা হয়। ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়।
অভিযোগ করে সিদ্দেক মিয়া বলেন, পূর্বের একটা বিরোধকে কেন্দ্র করে পতনঊষার ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য সিরাজ খাঁন ও তার ভাই আনোয়ার খানসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমার ভাড়াটিয়া ঘরে অতর্কিতে হামলা চালায়। চায়নিজ কুড়াল, ধারালো দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘর নিশ্চিহ্ন করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা আমাকেও বেদম মারধোরে আহত করে। এতে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পূর্ব থেকেই এমন সংবাদ পেয়ে আমি থানায় আগেই লিখিত অভিযোগ দিয়ে রেখেছি। সাথে সাথে পুলিশকেও অবহিত করেছি। এঘটনায় চিকিৎসা গ্রহণ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অভিযোগ বিষয়ে পতনঊষার ইউপি সদস্য সিরাজ খাঁন বলেন, এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভাঙ্গচুর করার বিষয়টি জানা নেই।
পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ইউপি সদস্যের সম্পৃক্ততা আমার ঠিক জানা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর দেখতে সরেজমিনে যাচ্ছি।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজি বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগ শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।