জাতীয়
ওই চেহারাগুলো দেখলে সন্দেহ হয়— কিছু উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখনো এক-এগারোর কথা ভুলে যাইনি। তাই আবার যখন ওই চেহারাগুলো সামনে আসে, তখন যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়। সেজন্য আমরা আলোচনার কথা বলেছি, পারস্পরিক আলোচনা দরকার।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক-এগারোর সময় কারা চেষ্টা করেছিল বিরাজনীতিকীকরণের— আমরা তা ভুলে যাইনি। এমনকি ওই সময় আমাদের দলকে পুরোপুরি বাতিল, নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টাও হয়েছিল। এ কথাগুলো তো আমরা ভুলতে পারি না। এটা আমার গণতন্ত্রের জন্য, আমার রাজনীতির জন্য, আমার দেশের কল্যাণের জন্য মনে রাখতে হবে। মানুষ এখানে একটা ডেমোক্রেটিক সেটআপ চায়, গণতন্ত্র চায়। মানুষ নির্বাচন চায়। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কী চাই, উনারা (অন্তর্বতীকালীন সরকার) কী চান, জনগণ কী চায়; একটা আলোচনা হতে হবে তো। সেই আলোচনার কথা বলেছি। সংলাপ করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অতি দ্রুত আলোচনা প্রয়োজন। এটাই (সংলাপ) আমরা বলেছি, খুব জোর দিয়ে বলেছি। আজ আবারও বললাম দ্রুত আলোচনা প্রয়োজন। না হলে হবে কি? অনেক ভুল-বুঝাবুঝি তৈরি হয়। সব কিছু তো পাবলিকলি হয় না। অনেক সময় আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু বেরিয়ে আসে।’
১/১১ বিরাজনীতিকরণের লক্ষণ দেখছেন কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি লক্ষণ দেখছি না, সর্তক করছি। কিছু ফেইস দেখলে আমরা ভয় পাই। আপনারাও দেখেছেন। কোনোদিন দেখিনি, হঠাৎ করে মিডিয়ার ফ্রন্ট পেইজে চলে আসছে তার বক্তব্য, তাদের থিওরি। এটা সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য খুব একটা ভালো বিষয় না আরকি। আপনারা আমার থেকে ভালো বুঝবেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না, কিছুই বলতে চাই না। তাদের কখনই দেখলাম না, কোনোদিন সামনে আসতে দেখিনি, দেশের মানুষের সামনে আসলেন না। হঠাৎ করে দেখি তারা একেবারে ফ্রন্ট পেইজে চলে আসছে। ’
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপির দ্রুত নির্বাচনের দাবি এবং দখলদারির বিষয়ে সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণ মনে করে না যে, এরা সরকার চালাতে পারবে, তারা এ ধরনের বিভিন্ন চিন্তা–ভাবনা করে, আমি কোনো দলের নাম বলছি না। আমাদের লড়াইটা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। সেটার জন্যই তো নির্বাচন। এটা তো আমাদের রাইট, আমাদের অধিকার। আমরা তো নির্বাচনের জন্যই এতদিন লড়াই করেছি, সংগ্রাম করে এসেছি।’
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে বাতিল করা হলো, তার জন্য ওই দলগুলো মিলেই তো আমরা আন্দোলন করেছি। ওই দলগুলোর অনেকে আন্দোলনে নির্যাতন ভোগ করেছেন। এমনকি তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই বিষয় (নির্বাচন) বাদ দিয়ে আমি তো অন্য রাজনৈতিক চিন্তা করব না। হ্যাঁ, অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে একটি আন্দোলন-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। অবশ্যই এই সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তার জন্য সবধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি, করব যতদিন সরকার রাইট ট্রাকে থাকবে, অবশ্যই আমরা সেটা করব।’