আইন ও অধিকারকুমিল্লানারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে জালকুড়িতে কাশেম হত্যা: মৃত্যুদণ্ডের আসামি ১৬ বছর পর গ্রেপ্তার

১৮ বছর আগে হত্যা মামলার আসামী, ১৬ বছর পূর্বে সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি পলাতক। অবশেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সেই হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জালকুড়ি সীমা ডাইং মিলের সামনে আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম জসিমকে (৪২)। সে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ভোলাইন এলাকার আমিনুল হকের ছেলে।
২০০৪ সালের ২৮ মার্চ সকালে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য আবুল কাশেম, আবুল বাশার নারায়ণগঞ্জে রওনা দেন। পথে জালকুড়ি এলাকার সীমা ডাইং মিলের সামনে আসামি হুমায়ুন, জসিম ও অর্জুন তাদের বেবিট্যাক্সি গতিরোধ করে গুলি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামি হুমায়ুন এবং জসিম আবুল কাশেমের মাথায় দুটি গুলি করলে ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় আবুল বাশার গুরুতর আহত হন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পরদিন ২৯ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এসআই মো. জাহির হোসেন মামলার তদন্ত শেষে মো. হুমায়ুন (২৪) ও মো. জসিমসহ (২৬) আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে ২০০৬ সালের ২১ মে আসামি জসিমকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঘটনার পর থেকে জসিম পলাতক। তিনি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।
এ মামলায় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অপর আসামি হুমায়ুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহন ও মনির কারাভোগ করছেন।