কুমিল্লা জেলায় ১০ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডে রায় দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে আমীর হামজা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের ছায়েদুল হক ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সকালে অন্যের জমিতে কাজ করতে যান এবং ওইদিন তার স্ত্রী বেড়ানোর জন্য মৌলভীবাজার আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে একই গ্রামের আসামি বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা ঘরে ঢুকে ছায়েদুল হকের কন্যা শিমু আক্তারকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিম শিমু এ ঘটনা তার বাবাকে অবহিত করার কথা জানালে ধর্ষক বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা ক্ষুব্ধ হয়ে দা দিয়ে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দুপুরে ভিকটিমের বাবা ছায়েদুল হক বাড়ি ফিরে ঘরের মেঝেতে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।
খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত শিমু আক্তারের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ধর্ষক বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাকে গ্রেফতার করে এবং তারা ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর স্পেশাল পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ মামলার দুই আসামি বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাকে মৃত্যুদন্ড এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডে রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।