সিলেট বিভাগ

কমলগঞ্জে সাম্মানিক ফেলোশিপ পাওয়ায় কবি এ কে শেরাম’কে গণসংবর্ধনা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আদিবাসী গবেষণায় বিশেষ অবদানে স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ ২০২৩ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কবি এ কে শেরামকে গণসংবর্ধনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ, কমলগঞ্জ উপজেলা শাখা। 

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের  মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কবি একে শেরামকে  সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেয়া হয়।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায়  বামসাস কমলগঞ্জ শাখার সভাপতি মাইবম বীরেন্দ্র এর সভাপতিত্বে ও কবি অয়েকপম অঞ্জুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্সের সভাপতি জয়ন্ত কুমার সিংহ, বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম এডুকেশন ট্রাষ্টের সভাপতি আব্দুস সামাদ, ইমা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অহৈবম রনজিৎ, দি ভানুবিল ড্রামা পার্টির ডিরেক্টর লৈচোম্বম রাজকুমার, আমেরিকা প্রবাসী কে ধৃত কুমার সিংহ, মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এল ইবুংহাল সিংহ শ্যামল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক শান্ত কুমার সিংহ, হকটিয়ারখোলা মণিপুরী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা  শিক্ষক বৃন্দা রাণী সিনহা, সমাজকর্মী আওয়াংতাবম সমরেন্দ্র, মণিপুরী শাড়ির জনক রাধাবতি দেবী, সমাজকর্মী শাম কিশোর সিংহ, কবি ও শিক্ষক সাজ্জাদুল হক স্বপন, হৈরোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কনথৌজম শিল্পী, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীহার রঞ্জন শর্মা, কে এইস সমেন্দ্র, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ, কমলগঞ্জ শাখার  সাধারণ সম্পাদক হামোম প্রবিত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাধারণ পরিষদের ৪৬তম বার্ষিক সভায় আদিবাসী গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি কবিকে ‘সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২৩’ দেওয়া হয়।

এ কে শেরামের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা গােবরখােলা গ্রামে। বাবা নবকিশাের সিংহ ও মাতা থাম্বাল দেবী। বাণিজ্য ও আইনে স্নাতক ডিগ্রিধারী এ কে শেরাম সােনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে আদিবাসী গবেষণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি সােনামনি মেমােরিয়াল অ্যাওয়ার্ড (সিলেট-১৯৯৪); শেকড়ের সন্ধানে অ্যাওয়ার্ড (সিলেট-১৯৯৯); য়েংখােম কমল মেমােরিয়াল অ্যাওয়ার্ড (শিলচর, ভারত-২০০৩); সাহিত্যভূষণ (আসাম মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ-২০০৮); প্লাটিনাম জুবিলি বিশেষ সম্মান (মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ ইম্ফাল, মণিপুর-২০১০); থিয়াম লৈরিকমচা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড (ইম্ফাল, মণিপুর-২০১১); হিজম ইরাবত মেমােরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড (ইম্ফাল, মণিপুর-২০১১); ধানসিঁড়ি সম্মাননা (ঢাকা-২০১২) লাভ করেন।


বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি পেয়ে থাকেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর সম্মানসূচক এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। ফেলোশিপপ্রাপ্তদের সম্মাননাপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close