নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালরাজনীতি
এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে, আমি জানি। আমার জন্য একটাই দোয়া করবেন, আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান যাতে দিতে পারি। মা-বোনেরা আমাকে যেভাবে আজ আদর করেছে, আমি ভুলবো না। আমি কখনো ভোট চাই না। কারণে আপনি আমার থেকে কম বুঝেন না। আমি নাটক করতে পারি না, আমি ভন্ডামি করি না। রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে দেখি।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাশীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আল্লাহর হুকুম হয়েছে, তাই আমি এই এলাকায় অনেক কাজ করতে পেরেছি। আমরা বাচ্চাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত চাই। হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন। নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নাই, অন্য কেউ আসুক। আমরা ফতুল্লা অঞ্চলে ৬৫০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। ২৬০০শ কোটি টাকা ব্যায়ে পঞ্চবটি-মুন্সিগঞ্জ সড়ক হচ্ছে, ১৩০০শ কোটি টাকা ব্যায়ে ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান আছে হয়তো জুন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। নতুন একটা জিসি আসছে এটা আনতে হবে। ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা শেষ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই না, কেনো? কারণ আপনি ঠিক করবেন আপনি কি চান। সিদ্ধান্ত আপনার।’
তিনি আরও বলেন ‘যত বড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না। আগামী ৭ তারিখে নির্বাচন হবেই। তারা আমাদের মানচিত্রে আঘাত করেছে। সিরিয়া, লিবিয়ার মতো দেশ বানাতে না চাইলে ভোট দিতে আইসেন। ভোট আমাকে দিয়েন না, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েন; তবে ভোট টা দিয়েন। তাদের কোন সুযোগ দিয়েন না। এবারের ভোটটা দেওয়া আপনাদের খুব দরকার। বিএনপি-টিএনপি কিচ্ছু থাকবে না, ছুরে ফেলে দিবে। লন্ডন থেকে বসে হুকুম দেয় বাসে আগুন দিতে, ওরা বলে জ্বি ভাইয়া ‘
শামীম ওসমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার প্রথম কাজ মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি; এগুলো বন্ধ করবো। আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন, কেন করবেন এগুলো? কারণ আমি আল্লাহকে খুশি করে মরতে চাই।’
কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির আলম ফাতুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতকার্মীরা।