Uncategorized
কমলগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে চাপে ভোক্তারা
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার হাট বাজার সমুহে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ১৫ দিনের ব্যবধানে আকষ্কিক ভাবে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রেতাদের বাড়তি মুনাফা বন্ধের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের তদারকি করা হচ্ছেনা। ফলে ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
শনিবার (২১ মে) সরেজমিন কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর বাজার, আদমপুর বাজার, মুন্সীবাজার ও শহীদ নগর বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বস্তা চাল পূর্বে ছিল ২৪শ টাকা বর্তমানে ২৫শ টাকা, গুড়া মরিছ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ২৫০ টাকা, বর্তমানে২৮০ টাকা, হলুদ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১২৫ টাকা বর্তমানে ২শ টাকা, আলু প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ১৫ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, পেঁয়াজ পূর্বে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা, রসুন পূর্বে ছিল ৪০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা, মসুরী ডাল পূর্বে ছিল ৯৫ টাকা বর্তমানে ১০৫ টাকা, চানার ডাল পূর্বে ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৬৫ টাকা, চিনি পূর্বে ছিল ৭৭ টাকা বর্তমানে ৮৫ টাকা, আদা প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ৮০ টাকা , বর্তমানে ১শ টাকা, ধেরশ পূর্বে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, টমেটো পূর্বে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, পুঁই শাক পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, ঝিঁঞ্জা পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা, বেগুন পূর্বে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি পূর্বে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ৩০টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি পূর্বে ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা, সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার পূর্বে ছিল ১৬০ টাকা বর্তমানে ১৯৮ টাকা, চানা পূর্বে ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বাজার করতে আসা টেইলার শাজহাজান মিয়া, নিবাস চন্দ, গৃহকর্মী রুনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা আর খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবো না। বাজারে কোনো পণ্যেরই সংকট নেই। তবুও পনের দিন আগে যে জিনিস যে দাম দিয়ে কিনেছি আজ বাজারে এসে দেখি প্রতিটি পণ্যেরই দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশী দাম চাওয়া হচ্ছে। দিন মজুর রহমত আলী, রমেশ শব্দকর বলেন, এমনিতেই প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টির কারনে কাজ করতে পারছিনা, ফলে আয় রোজগার কমে গেছে। বাজার করতে আসলে জিনিসের দাম শুনে আর মাথা ঠিক থাকেনা। পরিবার নিয়ে কিভাবে খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারবো কি-না বুঝতে পারছি না।
কাঁচা মাল ব্যবসায়ী শামিম আহমদ বলেন, আমরা যে সময় যে দামে ক্রয় করি তার চেয়ে একটু লাভ করেই বিক্রি করে থাকি। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। বাজারে সব পণ্যই আছে, তবে আগের চেয়ে বেশ কিছু সবজ্বি দাম একটু বেড়েছে।
পাইকারী ব্যবসায়ী সমীর পাল বলেন, বাজারে পণ্যের কোন কমতি নেই। আমরা শ্রীমঙ্গল পাইকারী বাজার থেকে পণ্য কিনে আনি। তারা যে সময় যে দাম দরে দেয়, আমরা সেই দামেই বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন বলেন, আমরা ঘন ঘন বাজার মনিটরিং করি। পণ্যের গায়ের দামের অতিরিক্ত বিক্রি করলেই জরিমানা আদায় করি এবং প্রতিনিয়ত বাজার মণিটরিংসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি।