বন্দর

বন্দর জোড়া খুনের পর থমথমে পরিস্থিতি: অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, আটক ৩

বন্দর উপজেলায় দুই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর রেললাইন এলাকাসহ সংলগ্ন স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতেই র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অন্তত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত দেখা যাচ্ছে, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের জেরে চাপা উত্তেজনা স্পষ্ট। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা আতঙ্কে আছেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন।

জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে উভয়পক্ষের বেশ কিছু লোক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি এবং টহল অব্যাহত রয়েছে।

আব্দুল কুদ্দুস (৭০) এবং মেহেদী হাসান (৪২) নামের দুই ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনায় বন্দরের শান্ত পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close