নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

একেএম শামীম ওসমান চাচা আমার রাজনৈতিক অভিভাবক – ঝলক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে টালমাটাল দেশের রাজনীতি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি ও জামায়াতের সরকার পতনের অবরোধ ডাকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সাধারণের মাঝে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। এমন পরিস্থিতিতে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের  সংসদ সদস্য  প্রার্থী মারুফুল ইসলাম ঝলক বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিএনপি’র অবরোধ এবং নিরপেক্ষ ভোট হলে নিজের ও দলের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে নারায়ণগন্জ টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-

মারুফুল ইসলাম ঝলকে কাছে প্রশ্ন ছিল- নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আপনিতো ব্যাপক আলোচনায় আছেন, এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন-আমার ছোট বেলা থেকে রাজনীতি করার একটা আগ্রহ আমার নিজের বাসা থেকেই। আমার আব্বা আম্মা দু’জনই রাজনীতিবিদ। আমার আব্বা বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। আমার আম্মা নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ. শিরিন বেগম।তাদের সবসময় দেখতাম জোহা পরিবারের সাথে রাজনীতি করতে এবং সেখান থেকে আমার রাজনীতিতে আসার সূত্রপাত।

প্রশ্নঃরাজনীতিতে আসার আগ্রহ কোথায় থেকে পেলেন আপনি?

মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন-আমার বাসা চাষাড়ায়। আমার বড় হয়ে উঠা চাষাড়ায়। রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় একটা কারণ হচ্ছে একেএম শামীম ওসমান চাচা। আমরা তাকে চোখের সামনে রাজনীতি করতে দেখেছি এবং আমি তাঁর ত্যাগ এবং কর্মীদের প্রতি আস্থা ভালোবাসা দেখে অনুপ্রানিত। তিনি আমার রাজনীতির অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস।কারণ আমার মা-বাবা রাজনীতি করলেও তারা বিশেষ করে আমার আব্বা সোনারগাঁয়ের রাজনীতি সময়টা বেশি দিতেন। আমরা নেতা বলতে শামীম ওসমান ওসমান কে দেখতাম চোখের সামনে। আমি মনে করি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক শামীম ওসমান চাচা। উনি আমার মতো অনেক যুবকের রাজনৈতিক আইডল।

প্রশ্নঃকিছু দিন আগে দেখলাম আপনার আব্বা সংবাদ সম্মেলন করেছে, মনোয়ন চাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?

মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন-আপনারা যে সংবাদ সম্মেলন টা দেখছিলেন আপনারা উপস্থিত ছিলেন সেটা ছিলো একজন মুক্তিযোদ্ধা সকল মুক্তিযুদ্ধো এবং যুদ্ধে সকল শহীদ পরিবার ও তাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি আকুল নিবেদন করা। দেশকে আবার পাকিস্হানের প্রেতাত্মা পাকিস্তান-আফগানিস্তান মতো ব্যার্থ রাস্ট্র বানাতে তৃতীয় শক্তির স্বরণাপণ্য হয়েছে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য। সেখান থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। যদিও বিভিন্ন আলোচনায় প্রার্থীতার কথা চলে এসেছে। আমি মনে করি আমি আর আমার বাবা আমরা তো একই রক্তের, একই পরিবারের আমরা কেউ কারো বাইরের না। আমরা দুইজন দুইজন কে হেল্প করি, সার্পোট করি। আমরা দুইজন দুইজন কে কম্প্লিমেন্ট করি। যেসব জায়গায় আমার আব্বা যেতে পারে না আমি চলে যাই। বিশেষ করে যুবক তরুণদের অনুষ্ঠানগুলোতে। কিছু কিছু জায়গায় আমার আব্বা উপস্থিত থাকে তাই আমি না গেলেও চলে। এছাড়া সোনারগাঁয়ের বৌ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ এর মহিলা শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে আমার আম্মার বিচরন আছে মা-বোনদের কাছে ।আমার আম্মা সোনারগাঁ থেকে মনোনয়ন  প্রত্যাশী না। আমার আব্বা এবং আমি মনোয়ন প্রত্যাশী হলেও আমরা একই।

প্রশ্নঃআপনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে,আগামীতে কি কি পদক্ষেপ?  নিজেকে স্পেশাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান?

মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন- আপনারা খেয়াল করে দেখবেন সোনারগাঁয়ের পপুলেশন সেনসাস অনুযায়ী যুবক তরুণদের সংখ্যা অনেক বেশি বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮-৪০ বছর জনগোষ্ঠী টা সোনারগাঁয়ে অনেক বেশী। বিগত সময় যারা এমপি ছিলো এই বড় সমাজ টা নিয়ে গঠনমূলক কোন উল্লেখযোগ্য কাজ করে নাই।আমি সাংসদ হলে আমার উদ্দেশ্য থাকবে এদের স্কিলে কনভার্ট করা। এরা যেন সবাই বিভিন্ন সেক্টরে স্কিলফুল হয়। এরা বিভিন্ন স্কিলে এরা তাদের  বুদ্ধিমত্তায়  তাদের কর্মে প্রসার করতে পারে, সেখানে আমার বিশেষ ফোকাস থাকবে আমার। আমার অনেক বড় একটা ফোকাস থাকবে এই যুবসমাজটাকে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত করতে। এতে করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে কারণ মাথাপিছু আয় বাড়ার একটা কারণ চালিকাশক্তি হবে স্মার্ট যুবকগোষ্টি। যুবকদের কর্মসংস্থান নিজেদের স্কিল দিয়ে যেনো করতে পারে তাহলে একটি সুন্দর জনগোষ্ঠী পাবো সোনারগাঁয়ে। যা সারাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের ছেলেদের যথেষ্ট পরিমাণ বুদ্ধিমত্তা আছে। এরা যদি এস্কিল ডেভেলপ করতে পারে আমাদের দেশের ছেলেরা বিভিন্ন দক্ষতা নিয়ে দেশের চাহিদা পূরনের পাশাপাশি আমেরিকা ইউরোপের মতো উন্নত দেশে যেতে পারবে বলে আমি মনে করি।

আরো বলেন-
আপনারা যানেন ইতি মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের এর প্রত্যয়ে আমি ২০১৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ক্যাশলেস সোসাইটি এবং মোবাইল এপ্লিকেশন ভিত্তিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ব্যবহার প্রয়োগ ইত্যাদি মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আমার ইচ্ছা সোনারগাঁও আসনে যদি এমপি হয়ে আসতে পারি তাহলে এই এলাকার তরুন যুবক যারা আছে তাদেরকে নিয়ে বড় বড় আইটি পার্ক করা এবং সিস্টেম আটোমেশন করা যা দিয়ে আমরা সিস্টেম লস কে কাভার করতে পারবো ও সময় কমাতে পারবো এবং কাজের এফিসিয়েঞ্চছি বারাতে পারবো এবং এখানে প্রচুর কল কারখানা করার স্কোপ আছে।  আবার একটি মহাসড়ক আরেকটি মহা সড়কের সাথে সযুক্ত তাই এই জায়গাটি ব্যাবসায়ীদের জন্য পজেটিভ একটি জায়গা এবং এটাকে ইচ্ছা করলেই একটি স্মার্ট ইনডাস্ট্রিয়াল সিটি হিসাবে গড়ে তোলা যাবে এই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কারনে।কাজেই আমার পরবর্তী পদক্ষেপ থাকবে যে এটাকে কিভাবে
স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close